ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে রেকর্ড ৫ সেঞ্চুরি করেছেন, তবে ফিটনেস নিয়ে সমালোচনা এড়াতে পারেননি মোহাম্মদ আশরাফুল। সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর ফিটনেস পরীক্ষায় ১১.৪ পয়েন্ট তুলে অবশ্য জবাব দিয়েছেন। আশরাফুলের সামনের চ্যালেঞ্জ আবারও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠে জাতীয় দলে ফেরার রাস্তাটা প্রশস্ত করা।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে হাই-পারফরম্যান্স (এইচপি), ‘এ’ দল ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সেরা পারফর্মারদের সমন্বয়ে একটি ম্যাচ হবে আগামী ১৯-২২ সেপ্টেম্বর। আয়োজক বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ। ফিটনেসে উন্নতি হওয়ায় বিসিবির অধীনে চারদিনের ম্যাচটি খেলার সুযোগ পাচ্ছেন আশরাফুল।
বিসিবি লাল ও বিসিবি সবুজ দলের ব্যানারে চারদিনের ম্যাচটিতে খেলবেন সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, সানজামুল ইসলাম, সাইফ হাসান, শফিউল ইসলাম, জুবায়ের হোসেন লিখন, কামরুল ইসলাম রাব্বি, মার্শাল আইয়ুব, ইবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহি, সাদমান ইসলামের মতো ক্রিকেটার।
আশরাফুল ম্যাচটিকে সুযোগ হিসেবেই দেখছেন। ২০১৯ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা করে নেয়ার লক্ষ্য ধরে আগানো এ ক্রিকেটার মনে করেছেন, পারফর্ম করলেই ডাক আসতে পারে জাতীয় দলে। সোমবার বিকেলে দলের সঙ্গে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান সে কথাই জানিয়ে গেলেন চ্যানেল আই অনলাইনকে।
‘এই মুহূর্তে যেখানেই খেলব, সেটাই আমার জন্য সুযোগ। ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে এই ম্যাচটা খেলতে পারছি, তাই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। এখানে যদি ভালো খেলতে পারি, হয়ত আরও ভালো বিবেচনায় থাকব যে দেশকে আবার সার্ভিস দিতে পারব। আমি বিশ্বাস করি দিতে পারব। কারণ শেষ তিন মাস যেভাবে ট্রেনিং করেছি, ফিটনেস লেভেল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন কেবল পারফর্ম করে প্রমাণ করতে হবে আমি তৈরি আছি।’
‘যত লম্বা সময় ব্যাটিং করতে পারি সেটিই লক্ষ্য থাকবে। একটা ভালো ইনিংস আমাকে আত্মবিশ্বাস দেবে আগামী মাসে ঢাকা মেট্রোর হয়ে যখন জাতীয় লিগ খেলব।’ -যোগ করেন আশরাফুল।
আশরাফুল ২০১৬ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও বন্ধ ছিল জাতীয় দল ও বিপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টের দরজা। গত ১৩ আগস্ট, সেই দরজাও খুলেছে। জাতীয় দলের জন্য বিবেচিত হতে এখন দরকার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স।
নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি শেষে আশরাফুল জানিয়েছেন, তার লক্ষ্য ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলা।