সেনাকর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলি, যোগ্যতা ও পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসকে মূল্যায়নে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ ২০১৭ উদ্বোধন করে এ নির্দেশনা দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী।
মাঠ পর্যায়ে সাফল্য এবং প্রশিক্ষণে দক্ষতাই সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নেতৃত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে চারটি বিশেষ গুণ থাকতে হবে। প্রথমত, সেনা কর্মকর্তাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস থাকতে হবে। দ্বিত্বীয়ত, তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। দেশ ও সমাজের সেবার মানসিকতা এবং উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হতে হবে।
তৃতীয়ত, তাদের মাঠ পর্যায়ের সাফল্য থাকতে হবে। এবং চতুর্থত, তাদের অবশ্যই নেতৃত্বের যোগ্যতা, পেশাগত এক্সিলেন্স, নিয়মানুবর্তিতা, সততা এবং নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য থাকতে হবে।
সেনা সদরে অনুষ্ঠিত এই উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কর্মকর্তাদের নিযুক্তিগত সর্বোচ্চ পেশাগত উপযোগিতাকে পর্যালোচনায় রাখতে হবে।
সেনাবাহিনী ও সেনাসদস্যদের উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগ ও আগামীর পরিকল্পনা তুলে ধরার পাশাপাশি, পদ্মা সেতু, পার্বত্য এলাকায় দুর্যোগ মোকাবেলাসহ জঙ্গি দমনে সেনা সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সম্প্রতি রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে পাহাড় ধসে সমগ্র এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে নিরলস প্রচেষ্টায় তা দ্রুত পুনরুদ্ধার অভিযান ও পাহাড় ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্তদের খাবার, পানি ও চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ সাতটি আশ্রয় কেন্দ্রের দায়িত্ব গ্রহণ করে জনগণের সেবায় সেনাসদস্যরা নিজেদের নিয়োজিত করেন।