দেশের সর্ববৃহৎ ব্যাংক সোনালী ব্যাংক লিমিটেডে সাফল্যের সঙ্গে তিন বছর দায়িত্ব পালন শেষে রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি ও প্রধান নির্বাহী সিইও হিসেবে যোগ দেন মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বড় অংকের মুনাফার পাশাপাশি বিপুল খেলাপি ঋণ আদায়ের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংককে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দেন তিনি।
রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংককে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এই ব্যাংকে যোগ দিন তিনি।
এর আগে ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট থেকে ২০১৯ সালের ২১ আগস্ট পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।
তার দায়িত্ব পালনকালে ব্যাংকটি সরকারকে মুনাফা দিয়েছে চার হাজার ১০১ কোটি টাকা। অথচ ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকটি লোকসান করেছিল ৩৪৬ কোটি টাকা। ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের সময়ে সোনালী ব্যাংক শ্রেণীকৃত ঋণের ছয় হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা আদায় করেছে। যা সোনালী ব্যাংকের ইতিহাসে কখনও হয়নি।
এছাড়া দায়িত্ব পালনকালে ২১৩টি লোকসানি শাখা কমাতে পেরেছেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। ২০১৬ সালের জুনে সোনালীর লোকসানি শাখা ছিল ২৭৪টি।
২০১৯ সালের জুনে লোকসানি শাখা কমে দাঁড়িয়েছে ৬১টিতে। এদিকে, আলোচ্য তিন বছরে সোনালী ব্যাংকের আমানত বেড়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। ঋণ ও অগ্রিম বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা।
সোনালী ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত কর্মসংস্থান ব্যাংকের এমডি পদে কর্মরত ছিলেন। এরও আগে তিনি অগ্রণী ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডিএমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩ সালে অগ্রণী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার পদে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু হয়। দীর্ঘ ৩৬ বছরের পেশাজীবনের প্রতিটি দায়িত্ব সাফল্য ও দক্ষতার সঙ্গে পালন করেন এই ব্যাংকার।
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ দীর্ঘ পেশাজীবনে ব্যাংক খাতের উন্নয়নে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দেশে বিদেশে বিভিন্ন সম্মেলনে ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি ১৯৬০ সালে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের ছোট রাজপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ১৯৮২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে বিকম অনার্স এবং ১৯৮৮ সালে আইবিএ থেকে ফিন্যান্স বিষয়ে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন।
সম্প্রতি রাজু আলীম এর প্রযোজনায় এবং সানজীদা পারভীনের উপস্থাপনায় চ্যানেল আই এর ব্যবসা, বাণিজ্য ও অর্থনীতি বিষয়ক লাইভ শিল্পলোক অনুষ্ঠানে আর্থিক খাতের বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি।
প্রশ্ন : মুজিববর্ষে রূপালী ব্যাংক লি. নতুন কি পদক্ষেপ নিয়েছে এবং রূপালী ব্যাংকের পরিকল্পনা কি?
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ : এই বছরটা নিজেই একটা ভাগ্যবান বছর। এই বছরটা মুজিববর্ষকে স্পর্শ করেছে। তাই নতুন বছর পালনে প্রথম দিনেই আমাদের শ্লোগান ছিল- মুজিববর্ষের স্পর্শে নন্দিত ২০২০। এটা দিয়ে শুরু এবং এখন সারা বছর আমরা বলছি- মুজিববর্ষের স্পর্শে স্পন্দিত রূপালী ব্যাংক। মুজিববর্ষের প্রতিটিক্ষণ স্বপ্ন পূরণের দিন। আমরা শুন্য সুদে সীমিত আকারে কৃষকদেরকে ঋণ দেওয়ার চেষ্টা করছি। আর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সারা দেশে ৬৪টি জেলায় ৬৪ জন এবং সোহাগ পল্লীতে ৩৬ জনকে আমরা সাহায্য করতে চাচ্ছি। এই সব এবং আরও কিছু প্রোগ্রাম আমাদের আছে সেইসব পরে বলবো।
প্রশ্ন : ১৯৭২ প্রতিষ্ঠিত হয়ে এখনো গ্রামে বেশিরভাগ শাখা নিয়ে সেবা দিচ্ছে রূপালী ব্যাংক। গ্রামীণ জনপদে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে রূপালী ব্যাংক কি সফল হয়েছে?
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ : এর আগে আমি অগ্রণী ব্যাংকে ছিলাম, কর্মসংস্থান ব্যাংকে ছিলাম এবং সোনালী ব্যাংকে ছিলাম। সোনালী ব্যাংকে ১২১৫ টি শাখার মধ্যে ৫৭২টি শাখা গ্রামে ছিল। কিন্তু রূপালী ব্যাংকে একটা ইন্টারেস্টিং অংক আছে। ৫৭২টি শাখার ফিফটি পার্সেন্ট শাখাই গ্রামে।ফলে নিশ্চিত করে বলা যায় গ্রামীণ ইকনোমিতে আমরা ভূমিকা রাখছি। আমরা দেখেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এদেশে বিগত বছরগুলোতে এক কোটি মেট্রিক টন খাবারের উৎপাদন বেড়েছে এবং সবজিতে আমরা তিনে এসেছি আর মাছ চাষে চারে এসেছি। কিন্তু আমাদের কৃষি ক্ষেত্রে মূল সমস্যাটা হচ্ছে- কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বেড়েছে কিন্তু কৃষকরা ফেয়ার প্রাইস পাচ্ছেন না।এই জন্যে রূপালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে মুজিববর্ষে আমরা একটা পরিকল্পনা নিয়েছি যে, কৃষকদেরকে কিভাবে ফেয়ার প্রাইস দেওয়া যায়? আগেও আমার এই কৃষিক্ষেত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিলো। অগ্রণী ব্যাংকে বান্দরবানে থাকার সময়ে আমি আদা চাষ করেছিলাম প্রায় ২৫ হাজার মেট্রিকটন।আর কর্মসংস্থান ব্যাংকে এই প্রান্তিক চাষিদের আমরা গরুর লোন দিতাম দুধের জন্যে। যাদের চিলিং প্ল্যান্ট আছে তাদের সাথে চুক্তি করে দিয়েছিলাম। এর ফলে প্রান্তিক চাষিরা বর্ধিত মূল্য পেতো। আর যাদের চিলিং প্ল্যান্ট আছে তাদের সাথে চুক্তি করাতে মাঝখানে মধ্য:স্বত্বভোগী দাদন এবং পরিবহন এদেরকে আমরা উইড্র করতে পেরেছিলাম। এখন আমরা চিন্তা করলাম যে কোন পণ্যের তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন যে, সুদের হারটা যাতে কম হয়। যে কোন পণ্যের উৎপাদন খরচের মধ্যে সুদ কিন্তু একটা বিরাট বড় ফ্যাক্টর। যেহেতু প্রান্তিক চাষিরা মূল্য পাচ্ছে না তাদের ধরে রাখার সামর্থ্য নাই এবং তাদের পণ্যটা পচনশীল হওয়াতে তাদেরকে দাদনদের কাছে জিম্মি হয়ে যেতে হয়। আমরা যখন টমেটো কেচাপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে টমেটো চাষিদের উৎসে কিন্তু দুই থেকে চার টাকা বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়। আমরা এখন এমন একটা প্রডাক্ট বের করেছি যার মাধ্যমে সে ত্রিশ টাকায় টমোটা বিক্রি করতে পারবে কেচাপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে।
প্রশ্ন : এটা ব্যাংক করছে?
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ : হ্যাঁ। আমরা করছি। আমরা নাটোর এলাকায় প্রায় ৫ শতজনকে সংঘবদ্ধ করেছি। এখানে আমরা লোনটা দিচ্ছি নাটোর এগ্রো প্রডাক্টের মাধ্যমে। আর যারা কেচাপ বানায় তারা কিন্তু ৬০-৮০ টাকায় টমেটো কেনে।
প্রশ্ন : উদ্যোক্তাদের আপনারা লোন দিচ্ছেন?
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ : না। আমরা সরাসরি কৃষকদেরকে লোন দিচ্ছি। আর এই লোন হবে শূন্য সুদে। এখন মনে হতে পারে ব্যাংক তো দানসত্র নয়? কিভাবে এটা এফোর্ড করছে? আমরা কিন্তু সুদটা পাচ্ছি। কৃষকদেরকে সুদ মওকুফ করে দিয়েছি। যাদেরকে ৮০ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকায় টমেটো কেনার সুযোগ করে দিচ্ছি তারা সানন্দে ওই সুদের টাকাটা বহন করতে রাজী হয়ে গেছে। এবার আমাদের আলটিমেট প্ল্যান আছে যে, পিয়াজে আমরা অনেক বড় সংকটে ছিলাম। আমি বান্দরবানে আদার উপরে কাজ করেছি । সেখানে আমি এইটা নিয়ে আসবো। একটা এনজিও এর সাথে কথা বলেছি। আর সারাদেশে কোল্ড স্টোরেজের বিরাট সংকট আছে। রংপুরে একজন কোল্ড স্টোরেজ মালিক আছেন। তিনি কৃষককে প্রতি মনে ৩০০ টাকা করে দেন। আমি তাকে বলেছি ওই কন্ট্রাক্ট ফারমারক আমরা আনবো। পরীক্ষামুলকভাবে একটু একটু করে ধরছি এবং আলটিমেটলি আমাদের দেখাদেখি অন্যান্য ব্যাংকরাও মনে হয় চলে আসবে। ওই আলুর মধ্যে প্রতি মনে তিনি ৩০০ টাকা দেন। আমি বলেছি- আমরা ফিফটি পার্সেন্ট শূন্য সুদে দেবো।এইভাবে আমরা এই মুজিববর্ষের প্রতিটি ক্ষণে নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে আসবো।
প্রশ্ন : এটা কি শুধু মুজিববর্ষের জন্যে?
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ : না। মুজিববর্ষে এর শুরু। মুজিববর্ষে এর শুরু করছি এবং আলটিমেটলি তা একটি লক্ষ্যে যাবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল যে, সম্পদ যেনো মুষ্টিমেয় লোকের হাতে না যায়। তিনি সব সময় শোষিতদের পক্ষে ছিলেন। এই মুজিববর্ষে আমরা চাচ্ছি যারা প্রান্তিক চাষি কিন্তু ফেয়ার প্রাইস পাচ্ছেন না তাদের পাশে দাঁড়াতে। কৃষি ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন ধানের সিজনে কিন্তু ধান কাটার লোক পাওয়া যায় না। আমরা কৃষি যন্ত্রপাতিতে ঋণ দেওয়ার চেষ্টা করবো। আর পিয়াজের ব্যাপারটি দুইটা কারণে হয়েছে। একটা হলো আমদানি নির্ভর আমরা। আর পচনশীল পণ্যের কারণে আমাদের কিন্তু আলু রাখার কোল্ড স্টোরেজ আছে কিন্তু পেঁয়াজ রাখার কোল্ড স্টোরেজ নাই। কৃষকের পণ্যের ফেয়ার প্রাইস নিশ্চিত করতে যা যা দরকার রূপালী ব্যাংক করবে।
প্রশ্ন : কমোডিটি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থা বাংলাদেশে নেই। কিন্তু পাশের প্রায় প্রতিটি দেশেই কমোডিটি এক্সচেঞ্জ আমরা দেখছি। এটার প্রয়োজন কি আছে?
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ : হ্যাঁ। এটি করতেই হবে। এর কোন বিকল্প নাই। আপনি দেখেন- আমাদের যে কোল্ড চেইন একটা প্রান্তিক চাষির থেকে আলটিমেট পর্যায়ে কোল্ড চেইন নেই। প্রান্তিক পর্যায় থেকে আলটিমেট পর্যন্ত যেনো কোল্ড চেইন থাকে যেহেতু পচনশীল পণ্য। এটা কিন্তু ব্রেক আছে।কোল্ড স্টোরেজ আছে। কিন্তু মাঝে কিন্তু ভ্যান নাই।
প্রশ্ন : একটা এক্সচেঞ্জ প্রতিস্থাপন দরকার?
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ : এক্সচেঞ্জ থাকলে তাকে কেন্দ্র করে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ হিসেবে প্রান্তিক চাষি পর্যন্ত কোল্ড চেইনটা চলে যাবে।
প্রশ্ন : গ্রামে এনজিওগুলো খুবই অ্যাকটিভ এবং তারা খুব চড়া সুদে ঋণ দিচ্ছে। এখানে এনজিও’র অলটারনেটিভ হিসেবে ব্যাংকগুলো কি পদক্ষেপ নিতে পারে।
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ : আপনারা যদি খুব গভীরভাবে তাদের পোর্ট ফলিও দেখেন- একটা মজার জিনিস আছে। আপনারা যদি খেয়াল করে দেখেন- তারা কিন্তু সদস্যদের বাইরে ঋণ দেয় না। আর তাই তাদের ঋণ আদায়ের হার বেশি থাকে। এবং তাদের অনেক প্যাকেজ আছে। একটা গ্রুপ প্রেশার থাকে। একটা গ্রুপকে ধরে লোন দেয়। কোন একটা গ্রুপের মেম্বার যদি খেলাপি হয় বাঁকিরা তাকে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। এটা একটা ব্যাপার আছে। আর প্রতি একশো টাকা ঋণের বিপরীতে ওদেরকে কিন্তু বাধ্যতামূলক সঞ্চয় করতে হয়। ফলে সঞ্চয়ের মায়া থাকে আর এই গ্রুপ প্রেশার থাকে। এই জন্যে সুদের হার ২৫ হলেও আদায়ের হার বেশি থাকে। আর আমি যেটা বলতে চাচ্ছি যেহেতু ওরা সদস্যদের মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে তাই আমাদের আওতা কিন্তু বেসরকারি বলি আর রাষ্ট্র মালিকানা বলি আমাদের আওতা কিন্তু এনজিওদরে চাইতে অনেক বড়। তারা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। আমাদের আওতা অনেক বড়। তারা সহায়ক শক্তি তাদের ভূমিকা আছে। শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি স্যার ফজলে হাসান আবেদের কথা। এই দেশে তিনি বিরাট ভূমিকা রেখেছেন।
প্রশ্ন : এবার সম্ভবত এনপিএল কমেছে। এর ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে ডেভলপমেন্টের জায়গা কি কিছুটা বাড়লো?
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ : আমাদের যেহেতু রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করতে হয় আমার কাস্টমার বেইজ অনেক বড়। ফলে আমাদের সার্ভিস মাপার সুযোগ অনেক কম। মাননীয় অর্থমন্ত্রী এবার ছোট্ট ছোট্ট দুই তিনটা কাজ করেছেন। একটা হলো রেমিটেন্সে তিনি একটা প্রণোদনা দিয়েছেন এবং রেমিটন্সে এবার বিরাট বড় উল্লম্ফন হয়েছে ২০ বিলিয়নে। আর খেলাপি ঋণের ব্যাপারে তিনি সবসময়ই বলেন- এই একমাত্র দেশ যেখানে এক্সিট নাই। যে ব্যবসা করবে না। সারেন্ডার করতে চায় বেরিয়ে যেতে চায়। ২ পারসেন্ট দেওয়াতে আমাদের যদিও ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে এর মধ্যে কিন্তু আমরা বসেছিলাম মিনিস্ট্রিতে বিরাট বড় সাফল্য আছে। বেসিক ব্যাংকের মতো ব্যাংকও ৬৮ কোটি টাকা ডাউন পেমেন্ট আকারে পেয়েছে।যে ব্যাংকের অনেক সমালোচনা আছে। আর ৯ পারসেন্ট যে সুদের বিষয়টা এখানেও তিনি সারপ্লাস দিয়েছেন যে কারণে ব্রিটিশ একটি সংগঠন থেকে তাকে শ্রেষ্ঠ অর্থমন্ত্রীর পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তারা সবসময়ই খেয়াল করে যে, থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিতে ছোট ছোট বিষয়ে তিনি নাড়া দিয়ে রেজাল্ট নিয়ে এসেছেন। রেজাল্ট ওরিয়েন্টেড অর্থমন্ত্রী। তাই এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা স্যারকে ধন্যবাদ জানাই। আর খেলাপি ঋণও বেশ আদায় হয়েছে। আমরা আশা করছি হাতে এখনো সময় আছে। আর আমাদের একটা প্রবণতা আছে ছাত্রজীবন থেকে যে, পরীক্ষার আগের রাতে আমরা পড়াশোনা করি। যেহেতু সময় ফেব্রুয়ারিতে তাই আমার ধারণা শেষের দিকে এই আদায়ের হার আরও বাড়বে। মানুষ শেষ সময়ে সুযোগটা গ্রহণ করে। আমাদের জাতীয় ক্ষেত্রে টোটাল খেলাপি ঋণের হার অনেক কমে যাবে।