সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ৪১ রানে হারিয়ে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জিতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ছুড়ে দেয়া ৩৭৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫৬ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ পায় সফরকারী জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিকদের প্রথম সাফল্য এনে দেন আনোয়ার আলী। ৯ ওভার চার বলে সিকান্দার রাজাকে ফেরান তিনি। ফেরার আগে সিকান্দার রাজা ৩১ বল থেকে সংগ্রহ করেন ৩৬ রান।
সিকান্দার রাজার বিদায়ে সিবান্দার সঙ্গি হন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। তবে তাদের জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। স্কোর বোর্ডে ৯ রান যোগ হতেই সিবান্দাকে ফেরান ওহাব রিয়াজ। সিবান্দার সংগ্রহ ছিলো ২৩ রান।
তৃতীয় উইকেট ১২৪ রানের জুটি উপহার দেন মাসাকাদজা ও চিগুম্বুরা। মাসাকাদজা ৭৩ রানে আউট হয়ে ফিরলেও চিগুম্বুরা তার ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান ১১৭ রান পর্যন্ত। মাসাকাদজাকে ফেরান শোয়েব মালিক।
৩৩ ওভারের শেষ বলে ডিপ-মিড উইকেট অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা হাম্মাদ আজামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ে চিগুম্বুরার সাথে ৭৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন উইলিয়ামস।
শেষ পর্যন্ত উইলিয়াম ৩৬, উতসেয়া ও মিউতুমবামি ২১ রানে অপরাজিত থাকলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিলো না। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন ওহাব রিয়াজ।
এর আগে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলা শেষে তিন উইকেট হারিয়ে ৩৭৫ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের এই বিশাল সংগ্রহের পথে বিশেষ ভূমিকা রাখেন অনেকদিন পর দলে ফিরে শতক হাকানো শোয়েব মালিক ও প্রথম উইকেট জুটিতে ১৭০ রান এনে দেয়া দুই ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ-আজাহার আলী। শোয়েব মালিক ৭৬ বলে ১১২ রান সংগ্রহ করে তিনি পানিঙ্গারার বলে মাসাকাদজার তালুবন্দি হন। হারিস সোহেল ৮৯, মোহাম্মদ হাফিজ ৮৬ এবং আজহার আলী অপরাজিত ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে প্রসপার উতসেয়া দুটি এবং তিনাশে পানিঙ্গারা একটি উইকেট লাভ করেন।