Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

রাত ১২টা ১-এই শুরু হয়েছে ১লা বৈশাখ

প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ হবে ১৪ এপ্রিলে, ২১ ফেব্রুয়ারি হবে ৮/৯ ফাল্গুনে, ২৬ মার্চ হবে ১২ চৈত্র, ১৬ ডিসেম্বর হবে ২ পৌষ। বছর ঘুরে এলে তো এসব বিশেষ দিনের বাংলা তারিখও বদলে যাওয়ার কথা। তাহলে কেন এমন নির্দিষ্ট দিনেই হয়ে থাকে এসব বিশেষ দিন। আর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দিনের পার্থক্যটা কেনো? সেসব নিয়েই এবার ফেসবুকে পোস্ট দিলেন সিলেটটুডে২৪.কমের প্রধান সম্পাদক কবির য়াহমদ।

ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সারাবিশ্বে রাত ১২টার পর দিনের শুরু। বাংলা মাসের হিসেবে দিনের শুরু একটা সময়ে ছিল সূর্যোদয়ের সঙ্গে, কিন্তু সেটা পরিবর্তিত হয়েছে। ড. শহীদুল্লাহ্ বাংলা পঞ্জিকা সংস্কার কমিটি ও পরবর্তীকালের ড. শহীদুল্লাহ কমিটির সম্পূরক কমিটি বা টাস্কফোর্সের প্রস্তাব বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে অধিবর্ষ গণনা হয় ফাল্গুনে, কিছু জাতীয় দিবসের তারিখ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সাথে নির্ধারিত, যেমন প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ হবে ১৪ এপ্রিলে। ২১ ফেব্রুয়ারি হবে ৮/৯ ফাল্গুন (অধিবর্ষে পরিবর্তন হয়), ২৬ মার্চ হবে ১২ চৈত্র, ১৬ ডিসেম্বর হবে ২ পৌষ ইত্যাদি।

তিনি লিখেছেন, ‘বাংলা দিনের শুরুও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ি, রাত ১২টার পর। সে হিসেবে ১৪ এপ্রিলের শুরু রাত ১২টার পর থেকেই হয়েছে।

আমাদের অনেকেই ভাবছেন ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের শুরু হবে সূর্যোদয়ের পর থেকে, তাদের প্রতি বিনীত নিবেদন ১৪ এপ্রিলকে যদি পহেলা বৈশাখ মানেন তাহলে সূর্যোদয়ের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে না। মানলে তো পুরোটাই মানবেন; সংস্কার প্রস্তাবে যেমন তারিখ নির্ধারিত হয়েছে, একইভাবে নির্ধারিত হয়েছে দিনের শুরু হিসেবে রাত ১২টার পরের আন্তর্জাতিক রীতি!’

পোস্টে তিনি আরো লিখেছেন, ‘আমাদের বাংলা বছরের শুরু, শেষ; মাসের বিভিন্ন তারিখ ভেদে ধর্মীয় আচার পালন করতে হয় না, আর আমাদের এখানে নেই কোনো পঞ্জিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক স্বার্থ তাই আমরা আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়িই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির পঞ্জিকা সংস্কারকে গ্রহণ করেছি।

ইংল্যান্ড গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারকে গ্রহণ করেছে ১৭০ বছর পর, পশ্চিমবঙ্গও একদিন লাইনে আসবে। এবং সেদিন থেকে একই তারিখে দুই বাংলায় পহেলা বৈশাখ, রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের জন্ম-মৃত্যুতারিখ পালিত হবে।

শুভ নববর্ষ ১৪২৪!’

Exit mobile version