সিলেট থেকে: এইতো কিছুদিন আগেও ইসরায়েল সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন ৬জন প্যালেস্টাইনি নাগরিক। স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি না পাওয়া দেশটির মানুষের সারাক্ষণের দুশ্চিন্তা, এই বুঝি হামলা করে বসে ইসরায়েল বাহিনী। তবে প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মাঝেও দেশটির স্বপ্নাতুর মানুষের জীবন-যাপন, খেলাধুলা, আবেগ আর ভালোবাসার জায়গাগুলো স্থবির হয়ে নেই। সব আবেগের কেন্দ্রস্থলে একটাই নাম- প্যালেস্টাইন।
ফুটবলাররাও নন প্যালেস্টাইনি জাতীয়তাবাদ আবেগের ঊর্ধ্বে। কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন বলেই দেশটির ফুটবলারদের মানসিকতাও লৌহ ইস্পাত কঠিন। বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে খেলতে আসা দলটির কোচ আর খেলোয়াড়ের কথায় উঠে এল সেটাই।
পেশাদার ফুটবলার। সংবাদ সম্মেলনে তাই পেশাদারিত্ব বজায় রেখে চললেন দলটির অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় মোহাম্মদ বাসেত ও কোচ নুরুদ্দিন। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ খেলবে দল। তারই প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশে আসা দলটির। র্যাঙ্কিংয়ে ঠিক ১০০তম অবস্থানে থাকা প্যালেস্টাইন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ড কাপের পঞ্চম আসরে সবচেয়ে শক্তিশালী দলও। তাদের মূল দলটি আবার আসেনি খেলতে! ডাগআউটের খেলোয়াড়দের বাজিয়ে দেখাই কোচের প্রধান উদ্দেশ্য।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় যখন-তখন জীবন চলে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতি স্বত্বেও এশিয়ান ফুটবলে সম্মানজনক অবস্থানে দলটি। এত জীবনাপন্ন পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রস্তুত করেন নিজেদের? প্রশ্ন ছিল মোহাম্মদ বাসেতের প্রতি। ‘আপনি কী আমাদের আবেগ নিয়ে জিজ্ঞেস করছেন?’ উল্টো নিজেই প্রশ্ন করে বসলেন প্যালেস্টাইনি এ ফুটবলার!
পরে অবশ্য খোলামেলা উত্তর দিয়েছেন বাসেত, ‘দেখুন, আমরা পেশাদার খেলোয়াড়। আমাদের জীবন ফুটবল। আমরা সেটা নিয়েই থাকি। যেকোনো কঠিন পরিস্থিতির জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখতে হয়। এবং সেটা ফুটবলকে ঘিরেই।’
পেশাদারিত্বের কথা বললেও আবেগটা অবশ্য লুকাতে পারেননি বাসেত, ‘আমরা দেশের জন্য খেলি। প্যালেস্টাইনের জন্য খেলি। বিশ্বের কাছে প্যালেস্টাইনকে তুলে ধরতে চাই। আমাদের কাছে প্যালেস্টাইন এক আবেগ।’