ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত তিন বছরের ছোট্ট ছোয়া মনির লাশের ময়নাতদন্ত চান না তার স্বজনরা। কঁচি শরীরে কোনোরকম ছুরি-কাচি চালাতে দিতে নারাজ তারা।
এজন্য ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন শিশুটির মামা মো. জামাল মিয়া।
বর্তমানে শিশুটির লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। শিশুটির বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায়।
শিশুটির মা-বাবাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগে দুইটি ট্রেনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হন শতাধিক যাত্রী। তাদের মধ্যে ২৬ জনের অবস্থা গুরুতর।
হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী তূর্ণা-নিশীথা এবং সিলেট থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাত্রা করা উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রেন দুুুটির কয়েকটি বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
এই দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটের রেলযোগাযোগ ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সকাল সাড়ে ১০টার পর আবার স্বাভাবিক হয়।