আজকের মধ্যে যেসব পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজে ফিরবে না, সেসব কারখানা শ্রম আইন মোতাবেক বন্ধ ঘোষণা করা হবে এবং শ্রমিকেরা সেই সময়ের মজুরি পাবে না বলে সর্তক করেছে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
বিজিএমইএ’র রোববারের প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছিল। আজকের মধ্যে শ্রমিকরা কাজে না ফিরলে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
নতুন মজুরি কাঠামোর বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা পাঁচদিন রাজধানী, সাভার ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা।
একদিনের বিরতি শেষে আবার শনিবার রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভে নামে তারা। শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের জন্য সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করলেও মালিকপক্ষ তা দিচ্ছে না।
আন্দোলনের মুখে রোববার পোশাক শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত মজুরি কাঠামোর ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডের শ্রমিকদের মজুরি সমন্বয় করার ঘোষণা দেয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি ঘোষিত বেতন কাঠামোতে এই তিন গ্রেডের শ্রমিকদের মজুরি আশানুরূপ বৃদ্ধি না পাওয়ায় তা সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
বিদ্যমান মজুরি কাঠামোর ৫ বছর পর গত ২৫ নভেম্বর পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। নতুন ওই মজুরি ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা উল্লেখ ছিল সেখানে।
নতুন ঘোষিত বেতন কাঠামো অনুসারে: বেতন গ্রেড-১: ১৮২৫৭ টাকা, গ্রেড-২: ১৫৪১৬ টাকা, গ্রেড-৩: ৯৮৪৫ টাকা, গ্রেড-৪: ৯৩৪৭ টাকা, গ্রেড-৫: ৮৮৭৫ টাকা, গ্রেড-৬: ৮৪২০ টাকা এবং গ্রেড-৭: ৮০০০ টাকা।
তবে নতুন মজুরি বাস্তবায়ন হওয়ার পর দেখা যায়, ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডের শ্রমিকদের বেতন গত ৫ বছরের ইনক্রিমেন্টসহ কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমে গেছে। আর অন্যদের খুবই সামান্য পরিমাণ বেড়েছে। এতেই বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে শ্রমিকরা।
গত বছরের ১৪ জানুয়ারি পোশাক শ্রমিকদের জন্য মজুরি বোর্ড গঠন করেছিল সরকার। স্থায়ী ৪ সদস্যের সঙ্গে পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ও শ্রমিকদের একজন প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত এই মজুরি বোর্ড সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে মজুরি নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে ২০১৩ সালের ৭ নভেম্বর পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।