বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে গত সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মগবাজারসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিদরে। তবে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। মিশরের পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, চায়না পেঁয়াজ ৬৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া, দেশটির আমদানি করা পেঁয়াজ বাংলাদেশকে কম দামে দেয়ার প্রস্তাব ও নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ার কারণে বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে।
তবে পেঁয়াজের দাম কমলেও সবজির বাজার এখনো চড়া। মৌসুমে শীতের সবজির যে দাম থাকার কথা, বিক্রি হচ্ছে তার চেয়ে বেশি দামে।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বরে ভারত রপ্তানি বন্ধ করায় দাম অস্বাভাবিক বেড়ে পেঁয়াজের কেজি ২৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। তবে নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসার পর দাম কিছুটা কমে ১০০ টাকায় নেমে আসে।
কিন্তু দুই সপ্তাহ আগে হঠাৎ করে নতুন দেশি পেঁয়াজ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় ওঠে যায়। এরপর গত সপ্তাহে তা আবার ১৪০-১৫০ টাকায় নেমে আসে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী নোয়াব আলী বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। এখন ভারত তাদের আমদানি করা পেঁয়াজ বাংলাদেশকে দেয়ার কথা বলছে। এসব কারণে দামও কমছে।
মূলত নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কমছে বলে জানান মগবাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম।
তবে ক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখনো পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি। মনিপুর থেকে কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে আসা রিপন মোল্লা বলেন, পেঁয়াজের ভরা মৌসুম এখন। এ সময় থাকার কথা ৩০ থেকে ৪০ টাকা। কিন্ত এখন ১০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এখনো দাম বেশি বলে মনে করি।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শশার ও পেঁপের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। করলা ৫০ থেকে ৭০, দেশি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া ভালো মানের শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ফুলকপি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। মুলা পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়।
আর নতুন গোল আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শালগম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। বেগুন পাওয়া যাচ্ছে ৪০-৫০ টাকার মধ্যে।