সবুজ, সুরক্ষিত ও বসবাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইয়াসির আজমান।
তিনি বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কাজের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো ধারাবাহিকভাবে উপেক্ষা করার কারণে এটি আমাদের জলবায়ুর ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। যদি এ বিষয়গুলোর সমাধান না করা হয়, তাহলে এটি পরিবেশজনিত ইকোসিস্টেমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করবে।
গ্রামীণফোন কর্মীদের জন্য আয়োজিত গ্রিন উইক-২০২২’র অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিষ্ঠানটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রিডিউস, রিইউজ ও রিসাইকেলের (থ্রিআরস) মাধ্যমে প্রতিদিনের কাজে ‘গ্রিন প্লেজ’ গ্রহণ এবং এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে গত ১৬ থেকে ১৯ মে ‘গ্রামীণফোন গ্রিন উইক ২০২২’ পালন করেছে গ্রামীণফোন। মানুষের দৈনন্দিন কাজ আর অসচেতন আচরণ কীভাবে পৃথিবী এবং পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, সে ব্যাপারে গ্রামীণফোনের কর্মীদের জানাতে এবং তাদের পরিবেশবান্ধব জীবনযাপনে উৎসাহিত করতেই ‘গ্রিন উইক’ আয়োজন করা হয়।
টেলিনরের ইভিপি, চিফ পিপল ও সাসটেইনেবিলিটি অফিসার সিসিলি হিউচ, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইয়াসির আজমান এবং প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা (সিএইচআরও) সৈয়দ তানভির হোসেনের বৃক্ষরোপণ করার মধ্য দিয়ে গ্রিন উইক শুরু হয়। সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দায়িত্বশীলভাবে কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা পরিবেশ ইকোসিস্টেম আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য যার যার জায়গা থেকে কাজ করার এখনই সময় বলে তারা বিশ্বাস করেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের ১৬ কোটি ৭০ লাখ মানুষ গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানানো হয়। এ পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের আর্থ-সামাজিক জীবনে। আর এ ঝুঁকি বিবেচনা করেই টেলিনরের সাথে যৌথভাবে গ্রামীণফোন এ উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
ইয়াসির আজমান আরও বলেন, পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতেই আমরা গ্রিন উইক আয়োজন করেছি। এ গ্রিন উইক পরিবেশ সুরক্ষায় সবাইকে জীবনযাপন আর আচরণ পরিবর্তন আনতে অনুপ্রাণিত করবে এবং এ বিষয়গুলো তাদের প্রতিদিনের কাজের যুক্ত হবে বলে আমি আশা করছি।
বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে গ্রামীণফোনের কর্মীরা এ সপ্তাহটি উদযাপন করে। যার মধ্যে ছিলো: শুধুমাত্র পুনঃব্যবহারযোগ্য শপিং ব্যাগের ব্যবহার, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে প্রয়োজন ছাড়া বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার না করা, মাংস খাওয়ার পরিমাণ ও খাবারের অপচয় হ্রাস করা এবং বৃক্ষরোপণ।
কর্মীদের অনুপ্রাণিত করতে জিপি হাউজে একটি বুথ স্থাপন করা হয়। সেখান থেকে গ্রামীণফোনের কর্মীরা সপ্তাহজুড়ে তাদের পছন্দানুযায়ী চারাগাছ নেন। এছাড়াও, গত ১৮ ও ১৯ মে গ্রামীণফোনের কর্মীরা ‘মিট ফ্রি ডে’ ও ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ফ্রি ডে’ পালন করেন। গ্রামীণফোনের পাশাপাশি টেলিনরের সকল বিজনেস ইউনিট গ্রিন উইক উদযাপন করবে।