টালিগেঞ্জ এবার রেকর্ড সংখ্যক ছবি মুক্তি পেয়েছে। আর সেকারণে সেলিব্রিটিরা ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করেছেন। দুর্গা পূজায় অন্যদের মতো সেলিব্রিট্রিদের মণ্ডপে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখা হয়ে ওঠে না। ষষ্ঠী পর্যন্ত নামকরা তারকাদের ব্যস্ততা থাকলেও সপ্তমী থেকে কয়েকদিনের জন্য ছুটি পান তারা। সেই ছুটিতে কেউ ঘুমিয়ে কেই বা হৈ হুল্লোড় আর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাবাজি করে দিন কাটান।
সায়ন্তিকা
আগের মতো পুজোর প্যান্ডেলে যাওয়া হয় না সেজন্য মাঝে মাঝে মন খারাপ লাগে। কিন্তু এবার বন্ধুরা সবাই মিলে যেকোনো মণ্ডপে জমিয়ে আড্ডা মারব একটা দিন। পূজায় সল্টলেকের বাড়ি যাব। দু’টো দিন ওখানেই থাকব।
অন্য দিনগুলোয় কোনও বন্ধুর বাড়িতে হাউজ পার্টি করব। আসলে পূজার ভিড় ঠেলে কোথাও যাওয়ার চেয়ে বাড়িতে বসে খাওয়া দাওয়া, হৈ হুল্লোড় করা ভালো।
পাওলি দাম
চতুর্থী, পঞ্চমী তো পুজো পরিক্রমায় বিচারক হয়ে আর উদ্বোধন করে কেটে গেল। বিচারক হওয়ার অবশ্য একটা বড় সুবিধে হল, সব ঠাকুরগুলো দেখা হয়ে যায়। চেতলা অগ্রণী, নাকতলা উদয়ন সংঘ, বাদামতলা, কাশী বোস লেন অনেক জায়গাই ঘোরা হয়ে গিয়েছে। ‘জুলফিকার’ রিলিজ হয়েছে। তাই প্রমোশনের কাজও আছে। সপ্তমী পর্যন্ত কাজ। তারপর ছুটি।
ঋদ্ধিমা
বেশ কয়েক বছর ধরে পূজার সময় বাইরে বেড়াতে যেতাম। কিন্তু এবার গৌরবের শুটিং থাকবে সপ্তমী পর্যন্ত। তাই কোথাও যাওয়া হবে না। বন্ধুদের সঙ্গে বাড়িতেই পার্টি করব ঠিক করেছি। ভিড় আর ট্র্যাফিক জ্যাম এড়াতে সকাল-সকাল বেরিয়ে যাব। আর অনেক রাতে ভিড় কমলে বাড়ি ফিরব। এবারের পূজায় অনেকগুলো ছবি মুক্তি পাচ্ছে। সেগুলো কয়েকটা দেখব ভাবছি।
তনুশ্রী
দুর্গা পূজায় কলকাতার বাইরে যাওয়ার কথা ভাবতেই পারি না। এ বছরও থাকব। ষষ্ঠীর পর থেকে ইভেন্ট বা উদ্বোধনের চাপটা কমে যায়। তাই পূজার দিনগুলো বেশ আরামেই কাটে। কার বাড়িতে কবে আড্ডা বসবে, সেই প্ল্যানটাই চলছে আপাতত! এই পূজায় আমার কোনও ছবি রিলিজ নেই। কিন্তু আমার বেস্টফ্রেন্ডদের তো আছে। তাই মিমি, নুসরাত, সায়ন্তিকার ছবিগুলো দেখতেই হবে।
এবার একটা অন্য চাপও আছে আমার। আমেরিকান কেভ, বারবিকিউ ওয়ার্ল্ড দু’টো রেস্তোরাঁতেই যেতে হবে। পূজার ভিড় কীভাবে সামলাব, সেটা নিয়ে একটু টেনশনে আছি।
শুভশ্রী
ষষ্ঠী পর্যন্ত কাজ আছে। কোথাও ফিতে কাটা, কোথাও ইভেন্ট। ছবির প্রচারেও বিভিন্ন জায়গায় যেতে হবে। কিন্তু সপ্তমী থেকে নির্ভেজাল ছুটি কাটাব। এবার পূজায় তেমন বেরোচ্ছি না। গত এক মাস ধরে কাজের এত চাপ ছিল যে, খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। তাই বেশির ভাগ সময়টা ঘুমিয়ে কাটাব ঠিক করেছি।
পার্নো
পূজার আগে অনেক অনুষ্ঠান থাকে। সেগুলোয় ঘুরেই খুব ক্লান্ত হয়ে যাই। তাই পূজার কয়েকটা দিন বাড়িতেই থাকব। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাব। রাস্তাঘাটে এমনিতেই যা ভিড়, তাতে ঠাকুর দেখতে যাওয়া সম্ভব হয় না। গড়িয়াহাটে নতুন বাড়ি কিনেছি।