টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা।
সোমবার রাতের কোনো এক সময় হত্যার পর তার লাশ ফেলে দেয়া হয় বাড়ির পাশের পুকুরে। সে উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের ভারই গ্রামের আব্দুল মজিদ মাস্টারের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ভারই গ্রামের আব্দুল মজিদ মাস্টারের ছেলে ফরিদ উদ্দিন স্থানীয় কাগমারি পাড়া এলাকার একটি ডালের ফ্যাক্টরিতে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো ফরিদ উদ্দিন সোমবার সকালে বাড়ি হতে তার কর্মস্থলে চলে যায়। পরে ওইদিন রাতে সে আর বাড়ি ফিরেনি।
মঙ্গলবার সকালে তার লাশ বাড়ির পাশে পুকুরে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা তার বাড়ির লোকজনদের খবর দেয়। এসময় বাড়ির লোকজন দৌড়ে গিয়ে পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
ফরিদ উদ্দিনের কর্মস্থল কাগমারি পাড়া এলাকার চায়ের দোকানদারসহ একাধিক দোকানদার জানান, ফরিদ রাত ১০ টা পর্যন্ত বাজারেই অবস্থান করে। সবার সাথে বসে চা খেয়েছে এবং আড্ডা দিয়েছে। ১০ টার পর আর আমরা তাকে দেখতে পাইনি।
হত্যার বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোস্তফা কামাল বলেন, আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ফরিদ উদ্দিনকে সোমবার রাতের কোনো এক সময় কে কারা গলা কেটে হত্যা করেছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করেছি।
লাশ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। দোষীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।