চিত্রনায়ক ফেরদৌসের সঙ্গে এর আগে ‘পোস্ট মাস্টার ৭১’ এবং ‘লিডার’ নামে দুই ছবিতে অভিনয় করেছেন এ প্রজন্মের নায়িকা নিঝুম রুবিনা। ওই ছবি দুটি মুক্তির আগেই ফেরদৌস ও নিঝুম রুবিনা জুটির আরেক ছবি ‘মেঘকন্যা’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
আগামী ২৭ জুলাই ‘মেঘকন্যা’ মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। ছবিটি নিয়ে নিঝুম রুবিনা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: মেঘকন্যা পুরোপুরি পারিবারিক গল্পের ছবি। বলতে পারি, পুরোটাই ফ্যামিলি ড্রামা। এর ফাঁকে রয়েছে প্রেম-দুঃখ।
২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে ‘মেঘকন্যা’ ছবির শুটিং হয়েছিল। এখন ২০১৮-র জুন। এরমধ্যে প্রায় আড়াই বছর কেটেও গেলেও মুক্তি পায়নি মেঘকন্যা। এ নিয়ে ছবির নায়িকা নিঝুম রুবিনা বলেন: কয়েক শিফটে বান্দরবানে শুটিং করতে হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েছি। এমন হয়েছে, বান্দরবন গিয়ে শুটিং না করে ঢাকা ফিরেছি। এতে করে প্রযোজক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। পুনরায় আবার শুটিং করতে গিয়েছি। এসব কারণে শুটিং শেষ করতে দেরি হয়েছে।
এরপর সম্পাদনার কাজের সময় দেখা গেল আরও দৃশ্যের কাজ প্রয়োজন। তখন আবার শুটিং করতে হয়েছে। সেজন্য মুক্তিতে দেরি হলো।
নিঝুম রুবিনা আরও বলেন: লম্বা সময় পর মুক্তির ফলে কোনো প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না। এই ছবিটা যদি আরও পরে মুক্তি পায় তাও অসুবিধা হবে না। কারণ এটা গল্প প্রধান ছবি। এ ছবিটি নিয়ে আমি অনেক শ্রম ব্যয় করেছি। আমার বিশ্বাস কাজটি সবার ভালো লাগবে।
চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন: দর্শক ভালো গল্পের ছবি দেখতে চায়। মেঘকন্যা তেমনই এক ভালো গল্পের ছবি। নিঝুম রুবিনার সঙ্গে এটি আমার তৃতীয় কাজ। তার সঙ্গে কাজ করে মনে হয়েছে নতুনদের মধ্যে সে সম্ভাবনাময়ী। মনোযোগ দিয়ে কাজ করলে সে অনেকদূর যেতে পারবে।
পরিচালক মিনহাজ অভি বলেন: মেঘকন্যা দেখলে সমাজের প্রতিটি মানুষ নিজেকে খুঁজে পাবেন। গল্পে দেখিয়েছি ধনী-গরীব, শিল্পপতি, ছোট ব্যবসায়ী কারো কোনো ভেদাভেদ নেই। এই ছবি যে দেখবে সেই নিজেকে খুঁজে পাবেন। ছবি শেষ পর্যন্ত দেখলে দর্শক একটা বড় ধাক্কা খাবেন। বাকিটা মুক্তি পেলে ছবিটি দেখলে সবাই বুঝতে পারবেন কী আছে মেঘকন্যায়।
ফেরদৌস-নিঝুম রুবিনার ছাড়াও এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন সুচরিতা, শম্পা হাসনাইন, ঋদ্ধ প্রমুখ। ছবির চিত্রগ্রহণ করেছেন কিংবদন্তি চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান। প্রযোজনা করেছেন এ জেড এম জাহাঙ্গীর কবির। জয়া মিডিয়ার ব্যানারে নির্মিত এই ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন শওকত আলী ইমন। নৃত্য পরিচালনা করেছেন মাসুম বাবুল।