পাবনায় সরকারি দল নয় বরং নির্বাচনী মাঠে বিএনপির প্রার্থীরা নিজ দলের ভাঙ্গন আর বিদ্রোহী প্রার্থীদের দাপটে অনেকটাই কোণঠাসা। অন্যদিকে বিএনপির ভাঙনকে কাজে লাগিয়ে জামায়াতের ভোটও নিজেদের বাক্সে ভরতে মরিয়া সরকারি দল।
শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারণা উৎসবে উত্তর জনপদের শীতল বাতাসে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনী উৎসবে সরগরম পাবনার পৌরসভাগুলো। সদর পৌরসভাতে আওয়ামী লীগ আর বিএনপির প্রার্থী থাকলেও দুই প্রার্থীর গলার কাঁটা আর আতংক দলছাড়া বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নিয়ে। আওয়ামী প্রার্থীর অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী কালো টাকা দিয়ে প্রশাসনকে কিনছে।
পাবনা সদর পৌরসভা আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. রকিব হাসান টিপু বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী দলমত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে এখানে বক্তৃতা করেছেন। আবার নৌকা মার্কার পক্ষেও বলেছেন।
অন্যদিকে বিএনপি’র প্রার্থী বলছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে থাকলেও তার লড়াই হবে নৌকার সঙ্গে। দলছুট বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করবে পাবনার মানুষ। বিএনপি’র প্রার্থী নূর মো. মাসুম বগা আশা প্রকাশ করেন, প্রশাসনের বর্তমানে যে ভূমিকা রয়েছে, নির্বাচনের দিন পর্যন্ত সে ভূমিকাই থাকবে।
তবে, পাবনা সদর পৌরসভার বর্তমান মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু, যিনি স্বতন্ত্র হিসেবে মাঠে আছেন তিনি বলছেন, নৌকা আর ধানের শীষকে প্রত্যাখ্যান করবে পাবনা পৌরবাসী। তিনি বলেন, পাবনা পৌরসভায় দলমতধর্ম নির্বিশেষে সবাই তাকে ভোট দেবে।
পাবনার আরেক পৌরসভা ঈশ্বরদী। সেখানে শুধু ধানের শীষ আর নৌকার লড়াই হলেও মন্ত্রীর জামাই বলে প্রশাসনের বাড়তি সুযোগ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি প্রার্থী মোখলেসুর রহমান বাবলু। তিনি বলেন, মন্ত্রীর জামাই হিসেবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কিছুটা প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে। প্রশাসনও তার পক্ষে আছে। শুধু মুষ্টিমেয় কয়েকজন তার বিরোধিতা করছে।
অন্যদিকে বিএনপির শত ভাঙনকে কাজে লাগিয়ে বিজয়ী হতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ঈশ্বরদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু। তার ভাষায়, ‘পাবনার মানুষ যদি ‘মেন্টালের মানুষ’ (মানসিক রোগী) না হয়, তাহলে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট দেবে না।’
তবে প্রচারণার শেষ মুহূর্তে এসেও নির্বাচনকে ঘিরে কোন ধরণের সহিংতার আশংকা প্রকাশ করেনি পাবনার কোনো দলের প্রার্থী।