চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পাঁচ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ

চাকমা, মারমা, গারো, ত্রিপুরা এবং সাদ্ধ্রির মতো পাঁচ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের উদ্যোগে শুধু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষিত হচ্ছে না, মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ পেয়ে নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের ঝরে পড়ার হারও কমবে।

যেমন, আড়াই বছর বয়সী মারমা শিশু জোয়ালিয়ানা বেশ সৌভাগ্যবান। নিজের ভাষায় লেখাপড়া শুরু করতে পারছে সে। তার মা ড চিং চিং মারমা বান্দরবানের প্রত্যন্ত এলাকায় বেড়ে উঠার সময় সেই সুযোগ পাননি। জোয়ালিয়ানার মতো শিশুদের জন্য গত বছর থেকে সরকারী উদ্যোগে নিজ ভাষায় লেখাপড়ার সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী জানান, সকল নৃ-গোষ্ঠীর জন্য যে সাংবিধানিক স্বীকৃতি সেই অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে।

২০১৭ সাল থেকে চাকমা, মারমা, গারো, ত্রিপুরা এবং সাদ্ধ্রি জনগোষ্ঠীর জন্য প্রাক-প্রাথমিক বই দেয়া হচ্ছে। বই তৈরিতে নিজ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা কাজ করেছেন বলে জানান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন কমিটির শিল্প নির্দেশক কনক চাঁপা চাকমা।

আগামী বছর থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড দেশের পাঁচ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের দ্বিতীয় শ্রেণির বই দেবে। পর্যায়ক্রমে সাওতাঁলসহ অন্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদেরও মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ করে দেবে সরকার।

বিস্তারিত দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে: