জ্বালানী তেলের দাম বাড়ানো প্রত্যাহার অথবা নতুন ভাড়া সমন্বয়ের দাবিতে সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেছে মালিক-শ্রমিকরা। সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘট শুরু হয়।
রংপুরে মালিক-শ্রমিকরা পরিবহন ধর্মঘট শুরু হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। রংপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও ঢাকা বাসস্ট্যান্ড থেকে অনেক যাত্রীরা বাসস্ট্যান্ডে এসে কর্মস্থল কিংবা গন্তব্য ফিরতে না পেরে বাড়ি ফিরে গেছেন। নগরীর আরকে রোডের ট্রাক স্ট্যান্ড থেকেও ছেড়ে যায়নি কোন ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান।
চট্টগ্রামেও ধর্মঘটের ডাক দেয় সড়ক পরিবহণ মালিক শ্রমিক ফেডারেশন। ফলে বিআরটিসি ছাড়া চট্টগ্রামে বাস, ট্রাক, ট্যাংক লরি, কাভার্ডভ্যান সহ গণপরিবহণ ও পণ্য পরিবহণ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেই সাথে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সকল ধরণের আমদানী রপ্তানী পণ্য পরিবহণ বন্ধ হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছে বন্দর ব্যবহার কারীরাও।
খুলনায় বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী যান। এতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
কুমিল্লার বাস টার্মিনালগুলো থেকে কোন রুটে বাস ছেড়ে যায়নি। আগে থেকে বুকিং থাকায় কিছু কিছু ট্রাক কাভার্ডভ্যান চললেও নতুন ভাড়ায় কেউ নিচ্ছে না পণ্য পরিবহনও। বাস না পেয়ে অধিক ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের।
সিলেটেও সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হবে। এর মধ্যে তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার না হলে পরে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
রাজশাহী থেকে কোনো ধরনের বাস মিনিবাস ও ট্রাক ছেড়ে যায়নি। কোনো বাস ট্রাক রাজশাহীতে প্রবেশও করেনি। সরকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে ধর্মঘট চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।
বরিশালেও অভ্যন্তরীন ও দূরপাল্লার রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই হঠাৎ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার কারনে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
ময়মনসিংহের মাসকান্দা বাস টার্মিনালে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারন মানুষ ও ব্যাংকের চাকুরি প্রত্যাশী পরীক্ষার্থীরা।
সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগামী পরিবহন, আন্তঃজেলা পরিবহন, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ সব ধরণের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া ইজিবাইক, মহেন্দ্রযোগে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে চাইলে পরিবহন শ্রমিকদের বাধার কারণে সমস্যায় পড়েছেন তারা।
এছাড়া গাজীপুর, ঝিনাইদহ, যশোর, টাঙ্গাইল, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, নাটোরসহ সারাদেশে একই চিত্র। চলছে না বাস-ট্রাক। অনেকটাই ফাঁকা সড়ক। নতুন মূল্য কার্যকর না পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছে মালিক-শ্রমিকরা।