চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

নৌকা-ধানের শীষের লড়াইয়ে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়

সারা দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে অধিকাংশ পৌরসভায় জয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা। ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এ নির্বাচনে প্রায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার সুযোগ পায়নি। ২৩৪টি পৌরসভায় নির্বাচনের বেশির ভাগেরই ফল পাওয়া গেছে। বিভিন্ন পৌরসভায় নৌকা প্রতীকে ১৭৬ জন আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ধানের শীষে বিএনপি’র ২২ জন বিজয়ী হয়েছেন। লাঙল প্রতীকে বর্তমান সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছে ১ জন প্রার্থী। এছাড়া স্বতন্ত্রসহ অন্যান্য দল থেকে বিজয়ী ২৬ জন।

যেসব স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, তাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগেরই বিদ্রোহী প্রার্থী। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী জিতেছেন দুটিতে। এছাড়া নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর দুইজন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।  আর জাতীয় পার্টি থেকে একমাত্র মেয়র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভায়।

নরসিংদীর মাধবদী, বরগুনার বেতাগী, কুড়িগ্রামের উলিপুর, মাদারীপুরের কালকিনি এবং শরিয়তপুর সদরে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। সারা দিন ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় ভোট গণনা শুরু হয়। 

নির্বাচন চলাকালীন সময়ে দেশের বিভিন্ন পৌরসভায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় একজন নিহত হয়েছে। এছাড়া ভিন্ন ভিন্ন ঘটনায় আহত হয়েছেন সাংবাদিক-পুলিশ ছাড়াও প্রার্থীদের শতাধিক সমর্থক।

এবারই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে দলীয় প্রতীকে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো, সংসদ নির্বাচনের মতোই মেয়র প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।   সাত বছর পর নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের লড়াই নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে বেশ আগ্রহ ছিল এই পৌর নির্বাচনে।

বিএনপি এই ভোটে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ করলেও নির্বাচন কমিশন বলছে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ। আওয়ামী লীগও ভোট সুষ্ঠু হয়েছে বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিক্রিয়া ও কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় একজন করে মেয়র, সংরক্ষিত ৭৩১টি ও সাধারণ কাউন্সিলরের ২ হাজার ১৯৩টি পদের এই নির্বাচনে অংশ নেন ১২ হাজার প্রার্থী। সাতটি পৌরসভায় ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। ২০টি রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো।