‘‘গ্রামের একটি মেয়ের ধর্ষিত হওয়ার খবর প্রচার মাধ্যমে উঠে আসার পর প্রথমে স্থানীয় পর্যায়ে পরবর্তিতে দেশব্যাপী ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। সামনে নির্বাচন। কাজেই ধর্ষণের এই ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে এক পক্ষ অন্যপক্ষকে ঘায়েল করার ঘৃণ্য প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে। ঢাকা থেকে দেশের প্রায় প্রতিটি টেলিভিশন চ্যানেল ও সংবাদপত্রের প্রতিনিধি ধর্ষিতার খোঁজ নিতে যায়। এই সুযোগে প্রচার মাধ্যমে নিজ নিজ রাজনৈতিক শক্তিকে ফোকাস করার প্রতিযোগিতা শুরু করে বিভিন্ন পক্ষ।
ঢাকা থেকে জাতীয় পর্যায়ের নেতারা আসতে থাকেন। শত শত মোটর সাইকেলে চড়ে মিছিল সহকারে নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয় ধর্ষিতার বাড়িতে। ফলে কে কত বড় মিছিল নিয়ে ধর্ষিতাকে দেখতে যাবে তার প্রতিযোগিতাও শুরু হয়। নেতা আসে নেতা যায়। ধর্ষণের বিচার হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ধর্ষণের তো বিচার হয়ই না বরং ধর্ষণকারীই প্রতিপক্ষ সব দলের কাছেই আদরনীয় হয়ে ওঠে। তাকেই নিজ নিজ দলে টানতে রাজনীতির কুট কৌশল শুরু হয়। তারপর ঘটতে থাকে একের পর এক রুদ্ধশ্বাসপূর্ণ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা।’’
তাদের সাথে আরও অভিনয় করেছেন বিশিষ্ট অভিনেতা মোহাম্মদ বারী, মাহবুবা রেজানুর, মোশারফ হোসেন, মিন্টু সরদার, সুকর্ন হাসান, মনি কানচন সহ সৈয়দপুর ও ঢাকার বিভিন্ন নাট্যসংগঠনের শতাধিক নাট্যকর্মী। টেলিছবিটির একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নির্মাতা রেজানুর রহমানও।