চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সাবমেরিন খুঁজতে আর্জেন্টিনাকে সাহায্য করছে রাশিয়া

গত ১৫ নভেম্বর সাউথ আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ হওয়া আর্জেন্টাইন নৌবাহিনীর সাবমেরিন এআরএ সান হুয়ানকে খুঁজে বের করতে আর্জেন্টিনার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে রাশিয়া। আর্জেন্টিনাও এ সাহায্য গ্রহণ করেছে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট মরিশিও মাকরি জানান, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফোন করে বলেন, ৪৪ ক্রু নিয়ে হারিয়ে যাওয়া সাবমেরিনটির সন্ধানে তিনি প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্রুসহ একটি অনুসন্ধানী জাহাজ পাঠাতে চান যাদের এ ধরণের কাজের অভিজ্ঞতা আছে।

নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ১৫ নভেম্বর শেষ যোগাযোগ হয় এআরএ সান হুয়ানের। সাবমেরিন থেকে তখন জানানো হয় সেখানে কোনো ধরণের বৈদ্যুতিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এরপর থেকে আর ডুবোজাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

এর মাঝে অবশ্য গত শনিবার আর্জেন্টাইন নৌবাহিনী সাউথ আটলান্টিকে একটি সাবমেরিন থেকে সাতবার স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয় বলে জানায়। ধারণা করা হয়, যোগাযোগের চেষ্টা করা সাবমেরিনটি সান হুয়ান।

ওই ফোনকলগুলোর সংকেতের সূত্র ধরেই সাবমেরিনটির অবস্থান নির্ণয় করার চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২টিরও বেশি দেশ এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। তার সঙ্গে এবার যোগ হলো রাশিয়াও।

আর্জেন্টাইন নৌবাহিনীর মুখপাত্র ক্যাপ্টেন এনরিকে বালবি বলেন, সন্ধান অভিযান এখন ‘জটিল পর্যায়ে’ রয়েছে। কেননা আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে সাবমেরিনটিতে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে গিয়ে থাকতে পারে। অক্সিজেন শেষ হয়ে গেলে ৪৪ ক্রুর সবারই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায় চলে যাবে।

বালবি পরে সাংবাদিকদের জানান, সান হুয়ান নিখোঁজ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তার শেষ অবস্থানের কাছাকাছি কোথাও একটি বিকট শব্দ শোনা গেছে। শব্দটি কিসের ছিল, সেটা এখন তদন্ত করে দেখছে নৌবাহিনী। তবে শব্দটিকে বিস্ফোরণ বলে এখনই নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।

জার্মানিতে নির্মিত টিআর-১৭০০ মডেলের এআরএ সান হুয়ান সাবমেরিন ৪৪ জন ক্রু নিয়ে উশুয়াইয়া নৌঘাঁটি থেকে তার নিয়মিত ঘাঁটি মার দেল প্লাতার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। যাত্রাপথের মাঝেই কোনো একটা সময় হঠাৎ জাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

১৫ নভেম্বর নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল এআরএ সান হুয়ান। উপকূল থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় সবশেষ যোগাযোগ হয় সাবমেরিনটির সঙ্গে।