Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

নাসিরের সেঞ্চুরিতে শেখ জামালের সহজ জয়

প্রাইম ব্যাংককে সামনে পেলেই যেন নিজের খারাপ সময়টা ভালো করেন নাসির হোসেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে সর্বোচ্চ ইনিংসটা (৭৬) যে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে করেছিলেন, সেই তাদের বিরুদ্ধেই নাসির করেছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে সুপার লিগে ৬ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

ফতুল্লায় টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শেখ জামালের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। বোলিং নিয়ে শুরুতেই সাফল্যর দেখা পায় শেখ জামাল। ইনিংসের প্রথম বলে এনামুল হক বিজয়ের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন খালেদ আহমেদ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় প্রাইম ব্যাংক। ভারতীয় ব্যাটসম্যান নামান ওঝা হাল ধরেন রুবেল মিয়াঁকে নিয়ে।

নিজের প্রথম ম্যাচেই বড় রানের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন নামান ওঝা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ হয় ১২০ রান। এরই মধ্যে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন রুবেল মিয়াঁ। এই দুইজনের জুটি ভাঙেন ইলিয়াস সানি। নামানকে ৪৬ রানে আউট করেন তিনি। তার বিদায়ের একটু পরেই আউট হন রুবেল মিয়াঁও। ৬৬ রান করে তানভীর হায়দারের বলে আউট হন তিনি। তারপর যেন একটানা উইকেট পড়তেই থাকে প্রাইম ব্যাংকের। ১৪ রান যোগ করতেই ৪টি উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক।

১৪০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপদে তখন সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন আরিফুল হক। ফতুল্লায় ঝড় তোলেন আরিফুল। তার ঝড়ো ৫১ বলে ৭৪ রানের ইনিংসে ২৩৬ রান করে প্রাইম ব্যাংক। তিনটি করে উইকেট লাভ করেন সানি ও তানভীর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন দুই ওপেনার ইলিয়াস ও ইমতিয়াজ। তবে দলীয় ৪৫ রানে ভাঙে তাদের জুটি।

শ্রীলঙ্কার তারকা দিলশান মুনাভিরাও কিছু করতে পারেননি। তবে প্রথম পর্বে ব্যাট হাতে তেমন সফল হতে না পারা নাসির যেন প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে জ্বলে উঠেন। শুরু থেকেই বড় স্কোরের আশা দেখাচ্ছিলেন নাসির। নাসির-সানির জুটি দলকে জয়ের দিকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। হাফসেঞ্চুরি হাঁকান ইলিয়াস সানি। ব্যক্তিগত ৬৭ রান করে আব্দুর রাজ্জাকের বলে আউট হন তিনি।

সানির পর তুলে নেন নাসিরও। ব্যাট হাতে রান করতে ব্যর্থ হন নুরুল হাসান। ফিফটির পর সেঞ্চুরিও তুলে নেন নাসির। শেষ পর্যন্ত ১১২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন নাসির হোসেন। এটি লিস্ট এ ক্রিকেটে তার ষষ্ঠ সেঞ্চুরি।

Exit mobile version