Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

নামে নয়, গুণেই পরিচয়

গুগল নামটি এলো কোথা থেকে? স্কাই মানে তো আকাশ, কিন্তু ‘পি’ এলো কোথা হতে, ব্ল্যাকবেরির মতো একটি প্রযুক্তির নামই বা কেনো ফলের নামে রাখা হলো? এমন সব প্রশ্ন মনে ঘুরপাক খাইনি কার?

নামে নয়, গুণেই পরিচয়। গুণ দিয়েই মন জয় করেই আজ এসব নাম এক একটা ব্র্যান্ড। তবু নামই তো এসব প্রতিষ্ঠানকে আলাদা করে পরিচিত করিয়েছে আমাদের কাছে। গুগল, ইয়াহু, স্কাইপি এই নামগুলো এলো কোথা থেকে। জেনে নিন এমনই কিছু জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানের নামকরণের পেছনের ইতিহাস।

গুগল: ইংরেজি শব্দ ‘google’ কিন্তু চশমার ইংরেজি গগল থেকে আসেনি। এসেছে ‘googol’ থেকে। এটি মূলত গণিতের একটি টার্ম। যেটা ১০০টি শূন্যর পর একটিমাত্র এক নির্দেশ করে। 

অ্যামাজন: জেফ বেজস তার প্রতিষ্ঠানের জন্য এমন একটি নাম চাইছিলেন যেটা কিনা ইংরেজি অক্ষর ‘এ’ দিয়ে শুরু হবে। তাহলে সেটা সবসময় বর্ণানুক্রমিক তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে। এতে তার ব্যবসাটা বেশ লাভজনক হবে মনে করছিলেন তিনি।  

স্কাইপি: ‘স্কাই পিয়ার-টু-পিয়ার’ শব্দটি থেকেই প্রথম এসেছিলো ‘স্কাইপির’ শব্দটি। সেটাই ব্যবহৃত হচ্ছিলো। পরে ‘র’ শব্দটি ফেলে দিয়ে মাধ্যমটির নাম রাখা হয় ‘স্কাইপি’।

ইয়াহু: ‘ইয়েট অ্যানাদার হায়েরারকিকাল অফিশিয়াস ওরাকল’ এই পুরো বাক্যটির প্রথম অক্ষর মিলিয়েই রাখা হয়েছিলো ইয়াহুর নাম। এছাড়া জোনাথন সুইফটের লেখা গালিভার্স ট্রাভেলে ইয়াহু বলতে এমন এক কল্পিত প্রজাতিকে বোঝানো হয় যারা রূঢ়, কোলহলপূর্ণ ও হিংস্র। 

সনি: এই নামটা এসেছে ‘সোনাস’ শব্দটি থেকে। ল্যাটিন এই শব্দটি ব্যবহৃত হয় আওয়াজের প্রতিশব্দ হিসেবে। এছাড়া সোনাস শব্দটি ‘সনি বয়’ শব্দটিরও বিকৃত প্রকাশ। সনি বয় বলতে জাপানে আকর্ষণীয় তরুণকে বোঝানো হয়।

ব্ল্যাকবেরি: এই বিশেষ ডিভাইসটির পিনগুলো দেখতে অনেকটা ফলের একটি অংশের মতো। তাই ১৯৯৯ সালে এই নামটি বেছে নেওয়া হয়। 

ক্যানন:  ক্যামেরা প্রতিষ্ঠান ক্যানন। বুদ্ধধর্মের দেবী ‘কোয়ানন’ এর নামানুসারে এই প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে ১৯৩৫ সালে ক্যানন রাখা হয়।

Exit mobile version