নাটোর জেলা প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৬পুলিশ সদস্য সহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। এসময় ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ দুই রাউন্ড গুলি এবং লাঠিচার্জ করে। আহত পুলিশ সদস্য এবং অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছে, গুরুদাসপুর থানার উপ-পরিদর্শক তারের রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী উপ-পরিদর্শক আশিকুর রহমান, সাইদুজ্জামান, কনস্টেবল আব্দুল বাতেন এবং শহিদুল ইসলাম।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সকাল ১০টায়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের।
কিন্তু উপজেলায় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের আগমনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগে’র সাধারণ সম্পাদক ও গুরুদাসপুর পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ আলী মোল্লার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
বেলা ১১টার দিকে শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। এসময় পুলিশের এএসআই সাইদুজ্জামান বাধা প্রদান করলে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এসময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। এতে ৬পুলিশ সদস্য সহ অন্তত ১০জন আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পুলিশ।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সমন্বয় কমিটির যারা সদস্য তারাই শুধু সভায় যোগদান করতে পারবে। কিন্তু শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা দলীয় নেতা-কর্মীদের মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে উপজেলায় আসছিল।
এসময় পুলিশ তাদের বাঁধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ দুই রাউন্ড গুলি এবং লাঠিচার্জ করেছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা বলেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এর মদদে পুলিশ আমার দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে আমার ৪জন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে।’
তবে সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বলেন, গুরুদাসপুরের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। শাহনেওয়াজ যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।