মুন্সিগঞ্জের নাটেশ্বরে হাজার বছরের পুরনো মন্দির কমপ্লেক্স নিয়ে দিন দিন বাড়ছে সাধারণ মানুষ ও বিশেষজ্ঞদের কৌতুহল। গত দু’বছর ধওে সেখানে যৌথভাবে গবেষণা ও খনন কাজ পরিচালনা করছেন বাংলাদেশ ও চীনের প্রত্বতাত্ত্বিকরা।
মাটির নীচের প্রাচীন নিদর্শন আবিষ্কারে বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্বতাত্ত্বিক জরিপ ও খনন কাজ শুরু করার দু’ বছরের মধ্যে ২০১২ সালে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার নাটেশ্বর গ্রামে সন্ধান পাওয়া যায় হাজার বছরের এই বৌদ্ধ মন্দিরটির। ওই মন্দির কমপ্লেক্সের চারদিকে রয়েছে চারটি বড় হলরুম । হলরুমগুলোতে রয়েছে স্তুম্ভ আকারের ১৬টি পিলার। আর মাঝখানে মূল মন্দিরের অংশ বিশেষ। রয়েছে স্থাপত্য কাঠামোর অষ্ট-কোণাকৃতি একটি বিশাল আকারের স্তম্ভ ।
এলাকাটি বাঙ্গালি বৌদ্ধ পন্ডিত অতীশ দীপঙ্করের জন্মভূমি হওয়ায় এরই মধ্যে এখানে পাওয়া গেছে অতীশ দীপঙ্করের সমসাময়িক সময়ের বৌদ্ধবিহার, বৌদ্ধ মন্দির ও চলাচলের পথ। অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্বতাত্ত্বিকবিভাগের অনুসন্ধানেরঘুরামপুরে বিক্রমপুরী বৌদ্ধ বিহারে পাওয়া গেছে আরো সাতটি বৌদ্ধ ভিক্ষু কক্ষ।
পরে এই অনুসন্ধান ও খনন কাজে যোগ দেন চীনের প্রত্বতাত্ত্বিকরা। এসব স্থানে পাওয়া যায় নানা ধরণের মৃৎপাত্র। এছাড়া সম্প্রতি আবিস্কার হয়েছে আরো দু’টি স্তুম্ভ ।
এই মন্দির দেখতে প্রতিদিন বাড়ছে মানুষের ভিড়।দর্শনার্থীরা জানিয়েছে, ইতিহাসের হাজার বছরের পুরানো এই মন্দিরের স্বাক্ষী হতে পেরে তারা গর্বিত।
মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণকারী জানায় প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এই মন্দির দেখতে আসে।
নাটেরশ্বর বৌদ্ধ মন্দির তীর্থভূমিতে পরিনত হওয়ার আভাস দিয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, এখান থেকে পাওয়া কাঠ কয়লা পরীক্ষা করে দেখা গেছে এই প্রত্বস্থানে মানব বসতি ছিল ৭৮০ থেকে ১২২৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত।