Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

নাটকে অভিনয় করে প্রথম পেয়েছিলেন ১২’শ টাকা!

টিভি নাটকের অন্যতম দর্শকপ্রিয় তারকা জাহিদ হাসান। নব্বই দশকের শুরুতেই তিনি ছিলেন উজ্জ্বল মুখ। সিনেমাতেও পা রেখে সুনাম অক্ষত রেখেছেন। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। অভিনয় নিয়ে এখনও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি। 

ছবি : ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

তার ডাক নাম পুলক। মা রেখেছিলেন পুলক নামটি। সিরাজগঞ্জের ছেলে পুলক। ছেলেবেলার বন্ধুরা এখনো পুলক নামেই ডাকেন। কাছের মানুষরাও কেউ কেউ পুলক নামে ডাকেন আজও। জাহিদ নামটি রেখেছেন তার দাদা। পুলক থেকে সবার ভালোবাসায় আজকের জাহিদ হাসান হয়েছেন তিনি।

ছবি : ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

স্কুল পাশ করে সিরাজগঞ্জ শহরেই কলেজে ভর্তি হন। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর নাটকের দিকে ঝুঁকে যান। কেননা, অভিনয়ের নেশাটা পেয়ে বসেছে স্কুলজীবন থেকে। যার জন্য কোথাও নাটক বা যাত্রাপালা হলে দেখতে যেতেন।

ছবি : ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

১৯৮৬ সালে ‘বলবান’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ পান। এটি ছিলো বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ও পাকিস্তান প্রযোজিত একটি সিনেমা।

ছবি : ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

১৯৮৯ সালে বড় একটি সুযোগ আসে তার জীবনে। বিটিভিতে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য অডিশন দেন। পাশও করেন। তার প্রথম অভিনীত টিভি নাটকটির নাম ছিল ‘জীবন যেমন’। নাটকটি প্রযোজনা করেছিলেন আলীমুজ্জামান দুলু। প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করে পেয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ টাকা।

ছবি : ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

তারপর থেকে তাকে আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক উপহার দিয়ে গেছেন জনপ্রিয় নাটক।

ছবি : ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

সম্প্রতি ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়া হয়েছে। সেরা খলনায়কের পুরষ্কারটি পেয়েছেন জাহিদ হাসান। গোলাম সোহরাব দোদুল পরিচালিত ‘সাপলুডু’ চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য এই সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

ছবি : ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

এরপরই তিনি অতিথি হয়ে আসেন ‘চ্যানেল আই তারকা কথন’ -এ। কথা বলেন তার ভিলেন হয়ে ওঠা নিয়ে এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে।

ছবি : ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

এবার সহ তৃতীয়বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান। এর আগে ১৯৯৯ সালে হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ এর জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে পেয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা। পরে ২০১৭ সালে তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘হালদা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ‘খল অভিনেতা’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র ‍পুরস্কার পান।

Exit mobile version