নিখোঁজ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষক মোবাশ্বের হাসান সিজারের উদ্ধারের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন কর্মসূচি দেবে না জানিয়ে উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক আতিক ইসলাম বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তাই অযথা হইচই করে লাভ কি?
সোমবার চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষক মোবাশ্বেরের জন্য আমরা উৎকণ্ঠিত। তিনি ফিরে আসলে আমরা খুশী হবো। কিন্তু আমরা মনে করি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাদের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
‘‘তাই অযথাই কর্মসূচি দিয়ে, চেচামেচি করে লাভ কি?’’
শিক্ষক ও গবেষক সিজার নিখোঁজ হওয়ার প্রতিবাদে এবং তাকে উদ্ধারের দাবিতে যখন দেশ-বিদেশে জোরালো আওয়াজ উঠেছে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা উদ্বেগ জানিয়েছে, বিদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন পিটিশনের ব্যবস্থা করেছে, সেই মুহূর্তে এমন বক্তব্য এলো তারই কর্মস্থলের প্রধান নির্বাহীর কাছ থেকে।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ইভেন্ট খুলে মোবাশ্বের হাসান সিজারের উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি দিয়েছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কোনো ঘোষণা ছাড়াই সে কর্মসূচিটি বাতিল করে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অধ্যাপক আতিক ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘কারা কর্মসূচি দিয়েছিল তাও জানি না, কেন বাতিল হলো তাও জানি না’
গত ৭ নভেম্বর বিকালে কর্মস্থল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বনশ্রীর বাসার উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার পর থেকে ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মোবাশ্বের হাসান সিজার।
ওইদিন সকাল ৭টায় কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন তিনি। সেদিন সন্ধ্যা পৌনে সাতটা থেকে তার মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
সিজার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহকারী অধ্যাপক। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এটুআই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।