নর্থ কোরিয়া দাবি করেছে, নতুন ধরণের আগের চেয়ে আরও উন্নত মানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেছে তারা। নতুন এই অস্ত্র দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইলে বসানো যাবে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ রোববারই নতুন ধরণের একটি হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষারত অবস্থায় প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের কিছু ছবি প্রকাশ করে। সংস্থাটি বলেছে, কিম পিয়ংইয়াংয়ের পারমাণবিক অস্ত্র ইনস্টিটিউটে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং তাদেরকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বিষয়ক কাজে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়ে এসেছেন।
কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইনস্টিটিউটটি সম্প্রতি আরও উন্নত পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে সফল হয়েছে। তিনি (কিম জং উন) একটি হাইড্রোজেন বোমা নতুন একটি আইসিবিএম-এর (আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল) ভেতর বসানো পর্যবেক্ষণ করেন।’
প্রতিবেদনটিতে বোমাটিকে ‘ব্যাপক ধ্বংসাত্মক ক্ষমতাযুক্ত নানাবিধ কার্যকারিতাসম্পন্ন থার্মোনিউক্লিয়ার বোমা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা অনেক বেশি উচ্চতা থেকেও বিস্ফোরিত করা যাবে।
তবে অন্য কোনো মাধ্যম বা সূত্রের সাহায্যে নর্থ কোরিয়ার এ দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মিডলবারি ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-এর প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মেলিসা হ্যানহ্যাম বলেছেন, শুধু ছবি দেখে নর্থ কোরিয়ার দাবির সত্যমিথ্যা যাচাই করা সম্ভব নয়।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নর্থ কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাজে বেশ উন্নতি করেছে। কিন্তু মিসাইলে বসানো যায় এমন ছোট আকারের পারমাণবিক বোমা বানাতে দেশটি সফল হয়েছে কিনা তা এখনো পরিষ্কার না।
পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ইস্যুতে জাতিসংঘের নিত্যনতুন নিষেধাজ্ঞায় আছে নর্থ কোরিয়া। গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত করতে সক্ষম, এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও পরীক্ষার দাবি করলে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আরও নতুন কিছু অবরোধ আরোপ করা হয় দেশটির ওপর।
সম্প্রতি নর্থ কোরিয়াকে সহায়তার অভিযোগে চীন এবং রাশিয়ার ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।