নম্বর অপরিবর্তিত রেখে মোবাইল অপারেটর পরিবর্তনের সেবা ‘এমএনপি’ চালু নিয়ে বিটিআরসি’র নতুন নির্দেশনা পুরো প্রক্রিয়াকে ব্যহত করছে বলে অভিযোগ করেছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব।
নতুন নির্দেশনা মতে, এমএনপি’র ক্ষেত্রে গেটওয়ালগুলোর সংযোগের দায়িত্ব এখন মোবাইল অপারেটরদের হাতে। এ কারণে নতুন করে সংশ্লিষ্ট অপারেটরদের কারিগরি উন্নয়ন করতে হবে।
অ্যামটবের দাবি, এই কাজ এমএনপি চালুর সময়সীমা ৩১ শে জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব নয়। এমএনপি সেবা চালু করলে বাণিজ্যিকভাবে কী ধরণের প্রভাব পড়বে- তা জানিয়ে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবির শীর্ষ কর্মকর্তারা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে যৌথভাবে একটি চিঠিও দিয়েছেন।
২০১৩ সালে বিটিআরসি’র ১৫২তম সভায় অনুমোদন পাওয়ার চার বছর পর এমএনপি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়। বর্তমানে বিশ্বের ৭২ টি দেশে এই সেবা চালু আছে। প্রতিবেশি দেশ ভারতে এমএনপি চালু হয় ২০১১ সালে এবং পাকিস্তানে এমএনপি চালু হয় ২০০৭ সালে।
২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর বহুল প্রতীক্ষিত মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) চালু করতে বাংলাদেশ-স্লোভেনিয়ার যৌথ কনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ন বিডি টেলিটেককে লাইসেন্স নোটিফিকেশন পত্র দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
নোটিফিকেশন পত্র হাতে পেয়ে এই যৌথ কনসোর্টিয়ামের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের পোস্ট পেইড-প্রিপেইড গ্রাহকরা ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চের পর নম্বর না বদলে অপারেটর পরিবর্তনের সুবিধা পাওয়া শুরুর করবে।