নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে সোলার সামগ্রীর দাম কমানোর সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এজন্য সরকারের সমন্বিত উদ্যোগ চেয়েছেন কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনের প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীরা যেমন তাদের নতুন উদ্ভাবন প্রদর্শন করে, তেমনি ছিলো বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য। শেষদিন প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে এখন গ্যাস সংকট চলছে। প্রাকৃতিক শক্তিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করা গেলে এ সংকট এতোটা তীব্র হতো না।
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে ঢাকা শহরের অনেক বাসাবাড়িতে রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য গ্যাস নেই। তার মানে আমাদের গ্যাসের মজুদ ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এখন আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে নজর দিতে হবে। যদি আরো সহজ করে বলি, ‘তেল ভরো, সামনে চলো’ নীতি থেকে সরে আসতে হবে আমাদের। আমাদের অবশ্যই অবশ্যই নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যেতে হবে যেটা আজীবন আমাদের চালিয়ে নিয়ে যাবে।
বিভিন্ন দেশে ১৬ শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার হলেও বাংলাদেশে এখনো তা ২ শতাংশ। এজন্য এখনই নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে উদ্যোগ চেয়েছে প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
বায়োগ্যাস ফাউন্ডেশনের চেয়্যারম্যান এম এ গোফরান বলেন, বাংলাদেশে তিন লক্ষ একর জমিতে ভুট্টা হয়, আর আমরা জানিই না যে ভুট্টা গাছে বিদ্যুৎ হয় বা ভুট্টা গাছে গ্যাস হয়। বাংলাদেশে শুধু ঢাকা শহরে ছয় হাজার মেট্রিকটন আবর্জনা হয় প্রতিবছর, এর থেকে প্রায় ১২ হাজার গাড়ি চলতে পারে সিএনজি করে।
সমাপনীতে নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।