চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা না পেয়ে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় ডা: আবদুল্লাহ আল মামুন ও নার্স ছায়া চৌধুরীকে তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ১ জুলাই এদেরকে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে আদালত সন্তান প্রসবকারী মরিয়ম বেগমের চিকিৎসা দিতে এবং নবজাতকের জীবন রক্ষায় তাদের ব্যর্থতা কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। রুলে ওই মহিলাকে ক্ষতিপূরণ দিতে ডাক্তার ও নার্সকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চারসপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি অথবা সেক্রেটারীসহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল সহ এই আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, মরিয়মের স্বজনদের অভিযোগ: গত বুধবার রাত ১০টায় প্রচণ্ড প্রসব বেদনা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান মরিয়ম বেগম। ওই সময় হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: আবদুল্লাহ আল মামুন তাকে দেখার পর হাসপাতালের সিনিয়র নার্স ছায়া চৌধুরীর কাছে পাঠান। কিন্তু নার্স ছায়া চৌধুরী কোনো কথা না শুনেই এই প্রসূতি মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে জোর করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন মরিয়ম বেগমকে।
এরপর রাত ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় মরিয়মকে বেসরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে দুই ব্যাগ রক্ত দেয়ার পর মোটামুটি সুস্থ হন। তবে এর আগেই তার সদ্য জন্ম নেয়া সন্তান মারা যায়।