ভারতে গঙ্গা ও যমুনা নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণার পর থেকে বাংলাদেশের নদীগুলোর জন্য এ ঘোষণার দাবি দিন দিন জোরালো হচ্ছে। নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙর এর আয়োজনে নদীতে ভাসমান সভায় পরিবেশবাদী এবং বিশেষজ্ঞরা বলেন, কেউ দখল, দূষণসহ কোনো রকম ক্ষতি করলে নদীর পক্ষ থেকে সরাসরি মামলা করা যাবে।
নোঙরের আয়োজনে বুড়িগঙ্গায় ভাসমান আলোচনা সভা। সোমবার সকাল ১০টায় রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ভাসমান সভার জাহাজটি চাঁদপুরের উদ্দেশে ছাড়ে। সদরঘাট ঢাকা নদী বন্দর থেকে যাত্রা করা জাহাজে চলতে থাকে আলোচনা।
সেমিনারে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক। নদী রক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ার কথা বলছেন, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান। জাহাজ থেকে বুড়িগঙ্গা এবং ধলেশ্বরীর দূষণ ও দখলের চিত্র দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিবেশবাদীরা।
সরকারি উদ্যোগে নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করা না হলে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথা বলেছেন পরিবেশবাদী আইনজীবী এবং বিশেষজ্ঞরা।
এই যাত্রায় সঙ্গী হতে না পারলেও ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহা পরিচালক (প্রশাসন) জনাব কবির বিন আনোয়ার। সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন নদী-নিরাপত্তা সংগঠন নোঙরের আহ্ববায়ক সুমন শামস।
এছাড়া সেমিনারে অংশ হিউম্যান রাইটস্ এন্ড পীস ফর বাংলাদেশে এর সভাপতি এডভোকেট মনজিল মোরশেদ, ইসাবেলা ফাউন্ডেশন এর প্রধান উপদেষ্টা ও প্রকৃতি বিজ্ঞানীড. আনিসুজ্জামান খান, চ্যানেল আই এর নিউজ এডিটর মীর মাশরুর জামান, রিভারাইন পিপল এর মহাসচিব শেখ রোকন, শিক্ষক নুসরাত জাহান, বিআইডব্লিউ এর সাবেক প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ, পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি জনাব শমসের আলী, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন এর আহবায়ক মিহির বাশ্বাস, গ্রীন বাংলা কোয়ালিশন এর আহবায়ক শামসুল মোমেন পলাশ, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলন এর আহ্ববায়ক আমিনুর রসুল, এডভোকেট মাহবুবুর রাহমান, রোটারি ক্লাব অব আগারগাও এর সভাপতি আমিনুল ইসলাম তুহিনসহ অন্যরা।
অবশ্য নদীকে জীবন সত্তা ছাড়াও এই ভাসমান সভা থেকে মোট ৯টি দাবি উঠে এসেছে।
আরও বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে-