নতুন শ্রম আইনে তৈরি পোশাক শিল্পে ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ আগের চেয়ে সঙ্কুচিত হয়েছে বলে মনে করেন ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা। তাদের অভিযোগ শ্রম পরিদপ্তর থেকে খোঁজ নেয়ার পর ঠিকই ট্রেড ইউনিয়নে জড়িতদের চিহ্নিত করে হয়রানি করা হয়। তবে শ্রম পরিচালকের দাবি, নতুন আইন হওয়ার পর তারা পোশাক কারখানায় ৩ শতাধিক ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন দিয়েছেন।
রানা প্লাজা ধ্বসের পর জিএসপি ফিরে পেতে যুক্তরাষ্ট্র যে ১৬ শর্ত দেয় তার মধ্যে অন্যতম শর্ত কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ হওয়ায় সরকার আইন সংশোধন করে।
বর্তমানে যে কোনো কারখানার এক তৃতীয়াংশ শ্রমিক চাইলেই কারখানা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন করতে আবেদন করতে পারেন। তবে শ্রমিক নেতাদের দাবি ট্রেড ইউনিয়ন করা যতটা সহজ হয়েছে, ততটা পরিবর্তন হয়নি ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাওয়া শ্রমিকদের প্রতি মালিকদের আচরন।
সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এর সভাপতি নাজমা আকতার বলেন, যখনই এই ইউনিয়ন হচ্ছে তখনই ফেক্টরির ভিতরে অফিসাররা পরিদর্শন করতে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের বেতন ভাতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। কিন্তু হঠাৎ করে পরিদর্শন করতে আসায় শ্রমিকরা অনেকটা ঘাবড়ে যায়।
শ্রম পরিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গার্মেন্টস সেক্টরে ২০১৩ সালের আগে যেখানে ট্রেড ইউনিয়ন ছিলো মাত্র ১৩২ টি সেখানে বতর্মানে আছে ৪৬৫ টি। যারা ইউনিয়ন করেন তাদের কোন ধরনের হয়রানি করা হলে সেক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে বলে জানান শ্রম পরিচালক মো. আশরাফুজ্জমান ।
তবে শ্রমিকরা ইউনিয়ন নয়, নিরাপদ পরিবেশে নিয়মিত কাজ ও সঠিক সময়ে বেতন ভাতা পাওয়ার নিশ্চয়তা চায় এমন পর্যবেক্ষন শ্রম পরিদপ্তরের।
তিনি আরো বলেন, আগে যে পরিমাণ শ্রমিকরা উৎসাহী ছিলো এখন আর তেমনটি নেই। এখন শ্রমিকরা কিছুটা সঙ্কুচিত হওয়ার চিন্তা করে। এবং সেই অনুযায়ী তারা আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা সেটিকে বিবেচনা করি। নতুন শ্রম আইন হওয়ায় এই প্রক্রিয়ায় অনেকটা পরিবর্তন এসেছে।