২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে সংশয় প্রকাশ করেছে বেসরকারী গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ সিপিডি। জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব উত্থাপনের পরদিন সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি বলছে, বাজেটের আকার ও পথনির্দেশনা নিয়ে তাদের কোন সংশয় নেই তবে সেটি বাস্তবায়নের জন্য যে পরিমান বিনিয়োগ ও রাজনৈতিক উদ্যোগ প্রয়োজন সেটি বর্তমান আর্থিক কাঠামোর নেই। বাজেট বাস্তবায়নের নিয়মিত অগ্রগতি সংসদের মাধ্যমে জনগণকে জানানো উচিত বলেও মনে করেন তারা।
তাদের মতে বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতির হিসেবে টাকার অংকে বাজেট বড় কিংবা বিরাট নয়। প্রকৃত মুল্যে এ বাজেট নিয়ে আত্মতৃপ্তিরও কিছু নেই বলে মনে করে সিপিডি। প্রকৃত মুল্যে বাজেটের আকার বাড়েনি বলেও দাবি তাদের।
জিডিপির ৭.২ শতাংশের প্রাক্কালনকেও ঠিক মনে করলেও তার জন্য যে ৬০ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত বিনিয়োগের প্রয়োজন তার স্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেয় বলে দাবি তাদের। ব্যবস্থা ব্যবস্থা করতে হবে মনে করেন তারা।
বাজেট বাস্তবায়নে ৬৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় ও ৭০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। বৈদেশিক অর্থায়ন ইতিহাসের সর্বোচ্চ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করতে হবে।
শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও নতুন প্রবণতা হিসেবে উন্নয়ন ব্যয়ের চেয়ে অনুন্নয়ন ব্যয় বেড়ে যাওয় অর্থনীতির জণ্য আশংকাজনক বলছেন তারা। সিপিডি মুল্যায়ন সুদের হার , তারল্য সবকিছু ঠিক থাকার পরও ব্যক্তি বিনিয়োগে স্থবিরতা কাটানোার কোন স্পষ্ট দিক নির্দেশনা না থাকায় বাজেট কাঠামো বিশ্বাস যোগ্যতা হারাতে পারে।