ইনজুরির কারণে ওয়ানডে সিরিজে ছিলেন না পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের সেরা অস্ত্র মোহাম্মদ আমির। তাতে কি; দলটা যে পাকিস্তান। তাই নতুন আমির পেতেও দেরি হয়নি তাদের। সেই নতুন ‘আমির’ উসমান খান শেনওয়ারির তাণ্ডবে ছিন্নভিন্ন শ্রীলঙ্কা। পঞ্চম ওয়ানডেতে ৯ উইকেটে জিতে লঙ্কানদের হোয়াইটওয়াশ করল পাকিস্তান।
২০ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমত কাঁপছিল শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত সর্বনিম্ন রানের লজ্জা এড়িয়ে ১০৩ রান করে অলআউট হয় তারা।
চতুর্থ ওয়ানডেতে অভিষেকেও প্রথম ওভারে উইকেট নিয়েছিলেন উসমান। এদিনও সেটাই করলেন। ইনিংসের পঞ্চম বলে সাদিরা সামারাবিক্রমকে বোল্ড করে শুরু, পরে সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে মিলিন্দা সিরিবর্ধনাকে ক্যাচ বানিয়ে থামেন। এই ১৭ বলের মাঝেই শ্রীলঙ্কার প্রথম পাঁচ উইকেট তুলে নেন পাকিস্তানি পেসার।
২০০১ সালের পর এমন বিধ্বংসী স্পেল মাত্র দুবার দেখা গেছে। ২০০৩ বিশ্বকাপে চামিন্ডা ভাস ১৬ বলের মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম ৫ ব্যাটসম্যানকে আউট করেছিলেন। আর ২০১৩ সালে হল্যান্ডের ফন ডার গুগটেন কানাডার ৫ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন ১৯ বলের মধ্যেই। তবে গুগটেনকেও ছাড়িয়ে গেছেন উসমান।
থিরিমান্নে ও প্রসন্নর ২৯ রানের জুটিতে সর্বনিম্ন ইনিংসের রেকর্ড এড়ায় শ্রীলঙ্কা। ৩৪ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন উসমান।
পাকিস্তানের হয়ে বাকি কাজটা সারেন আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ বোলার হাসান আলী ও শাদাব খান। প্রত্যেকেই নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
লঙ্কান ইনিংসের জবাব দিতে নেমে সহজেই জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। ওপেনিংয়ে ৮৪ তুলে ২০.২ ওভারেই জিতে যায় সরফরাজের দল। ৪৮ রান করে ফখর জামান আউট হলেও ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ইমাম-উল-হক।