শুধুমাত্র নিজের বলয়ের জন্যই সবার কাছে আলাদা করে পরিচিত শনিগ্রহ। ঠিক সেই কারণেই সব থেকে বেশি আকর্ষণীয়ও সূর্য পরিবারের এই গ্রহটি। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন ধীরে ধীরে নাকি বলয়হারা হচ্ছে শনি।
যদিও তা হতে আরো অনেক বছর বাকি। অন্তত ১০ কোটি বছর পরে আবার বলয়বিহীন হয়ে যেতে পারে শনি।
চারপাশে বলয়ের আকারে ঘুরতে থাকা বালু ও পাথরের স্তরগুলো শনির টানে শনির বুকেই বৃষ্টি হয়ে ঝড়ছে। আর এই ঘুরতে থাকার ধূলার স্তর পুরোপুরি ভেঙে পড়তে আরো সময় লাগবে অন্তত ১০ কোটি বছর।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোটি কোটি বছর আগে পৃথিবীতে রাজত্ব করা ডাইনোসররা যদি টেলিস্কোপে চোখ রেখে শনিকে খুঁজতো তাহলে তারাও বলয়বিহীন শনিই দেখতে পেতো। মানে অনেক অনেক আগেও সেখানে কোনো বলয়ের অস্তিত্ব ছিলো না।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি বলয়বৃষ্টিকে পানির পরিমাপে ধরা হয় তাহলে দেখা যাবে, আধাঘণ্টায় অলিম্পিকের সুইমিং পুল পরিপূর্ণ হয়ে যাবে।
নাসার বিজ্ঞানী জেমস ও’ডোনোগুই বলেন, বলয়টা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে হয়তো ৩০ কোটি বছর লেগে যাবে। কিন্তু তার আগেই ১০ কোটি বছরেই অনেকটাই ভেঙে পড়বে বলয়।
ইকারাস জার্নালে প্রকাশিত নতুন গবেষণাটি বলছে শনির বলয়গুলো এখন তাদের মধ্যজীবনে আছে। এতদিন শনির অভিকর্ষ টান আর বলয় উপাদানের ঘুর্ণন গতির কারণেই এভাবে বলয় আকারে ছিলো উপাদানগুলো। কিন্তু শনির অভিকর্ষ টানের কারণে বর্তমানে বলয়বৃষ্টির পরিমাণ যতটা প্রত্যাশা করা হচ্ছিলো তার থেকে অনেক তীব্রতর হচ্ছে। তাতেই এমন আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের।