নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে এমভি ফারহান -৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় নিখোঁজ ১০ জনের কারও সন্ধান এখনও পায়নি উদ্ধারকারী সংস্থা ফায়ার সার্ভিস। ফলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে স্বজন ও স্থানীয়দের মধ্যে। ধলেশ্বরী নদীর তীরে নিখোঁজদের স্বজনরা তাদের প্রিয় মানুষের সন্ধানে এখনও অপেক্ষায় রয়েছেন।
ভোর থেকে এ নদীর তীরে অসংখ্য মানুষ আসতে থাকে। তাদের মধ্যে কারও সন্তান, কারও ভাই, কারও সহকর্মী রয়েছে।বারবার আহাজারি করে প্রিয় মানুষটিকে ফিরে পেতে চাইছেন তারা।
লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় সদর উপজেলার নির্বাহী কমকর্তা রিফাত ফেরদৌসকে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
নদীর গভীরতা বেশি হওয়ার কারণে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি সনাক্ত করা যায়নি। যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের খোঁজ মেলেনি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক আবদুল হালিম । তিনি বলেন, নৌ বাহিনীর অত্যাধুনিক ডিভাইস দিয়ে ইতিমধ্যে নদীতে তল্লাশি শুরু হয়েছে তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে । নদীর তলদেশ তল্লাশি করা ও নদীর দুই পাশের অন্তত ৫ কিলোমিটার এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলমান রয়েছে।
এদিকে এম ভি ফারহান-৬ যাত্রীবাহী লঞ্চের মাস্টার মো.কামরুল হাসান, চালক মো.জসিমউদ্দিন ভূইয়া ও সুকানী মো.জসিম মোল্লাকে আসামী করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেছের বিআইডব্লিউটিএ’র উপ পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য। সেই মামলায় তাদের ৫ রিমান্ডের চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরীতে এমভি ফারহান-৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি ধাক্কায় অন্তত ত্রিশ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ট্রলারটি। অনেকে সাঁতরে তীরে উঠলেও নিখোঁজ হন ১০ জন।