‘টিম টাইগার্সের’ অগ্রযাত্রা অব্যাহত ভারতের মাটিতেও। ধর্মশালা জয় করে
টাইগারদের সামনে এখন পরীক্ষার নাম সুপার টেন। তবে এশিয়া কাপের বাংলাদেশ
থেকে এখনকার বাংলাদেশ যেনো আরো একটু আলাদা। ঢাকার মাটিতে সাফল্য আসলেও দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন খেলোয়াড়ের যে ফর্মহীনতা ভাবনার কারণ হয়েছিলো তা অনেকটাই দূর হয়ে গেছে ধর্মশালায়।
বাছাই পর্বের অংশ নেওয়া ছয় দলের মধ্যে টিম টাইগার্সের সদস্যরা নিজ নিজ পারফরম্যান্সে ছিলেন উজ্জ্বল। ব্যাট হাতে যেমন তামিম শীর্ষ রান সংগ্রাহক, বল হাতে তেমনি সাকিব আল হাসান।
এশিয়া কাপের হতাশা কাটিয়ে বল হাতে সাকিব আল হাসান নিজেকে মেলে ধরার পাশাপাশি ওমানের বিপক্ষে ইনিংসের শেষ ওভারে আনসারিকে প্রথম ও দ্বিতীয় বলে চার ও ছক্কায় ব্যাট হাতে ফেরার ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
তেমনই পাকিস্তান সুপার লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে এশিয়া কাপের শেষদিকে ফেরা তামিমের ব্যাট ঢাকায় তেমন একটা না হাসলেও ধর্মশালার মাটিতে ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন তাতে পূরণ হয়েছে টাইগারদের এক যুগের স্বপ্ন। বাংলাদেশের হয়ে টি-২০তে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তামিম ইকবাল।
তবে ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ বলে পরিচিত মুশফিকুর রহিম এখনও যেনো হারিয়ে খুঁজছেন নিজেকে।
তারপরও বড় স্বস্তি যে টি-২০ বিশ্বকাপ ২০১৬’র বাছাই পর্বে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের আসনটিতে তামিম। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শেহেজাদের চেয়ে ৯১ রানে এগিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার। ২৩৩.০০ গড়ে করেছেন ২৩৩ রান, যেখানে স্ট্রাইকরেট ছিলো ১৫৮.৫০। বাছাইপর্বের একমাত্র সেঞ্চুরিটাও টাইগার এ ড্যাশিং ওপেনারের।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ
পার্টনারশিপও বাংলাদেশের। ওমানের বিপক্ষে ৯৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দু’জন,
যাতে সাব্বিরের ৪৪ রানের পাশাপাশি তামিম ইকবালের অবদান ৫৩ রান।
তবে বল হাতে শীর্ষ অবস্থানটি এককভাবে সাকিব আল হাসানের নয়। নেদারল্যান্ডসের পল ভ্যান ম্যাকরিন এবং আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর সঙ্গে যৌথভাবে ৬ উইকেট নিয়ে শীর্ষে সাকিব।
বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ এক ডজন ছক্কাও হাঁকিয়েছেন ‘টর্নেডো তামিম’। তার থেকে অর্ধেক কম ৬ বার সীমানা ছাড়া করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী। এমনকি বাছাই পর্বের সর্বোচ্চ ইনিংসের পাশাপাশি এক ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানও এসেছে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। ওমানের সঙ্গে ১০৩ রান ছাড়াও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৮৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন এ বাঁহাতি।
ব্যর্থতার মধ্যেও একটা জায়গায় ঠিকই রয়েছে মুশফিকুর রহিমের নাম। বাছাই পর্বের সর্বোচ্চ ডিসমিশালে জিম্বাবুইয়ান উইকেটকিপার মুতাম্বির পরই তিনবার স্ট্যাম্পিং করে দ্বিতীয় অবস্থানে করছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।