দেশের শীর্ষ ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবির মুখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকরা মঙ্গলবার দুপুরে বসেছিলেন জরুরী সভায়। সেখানে কী সিদ্ধান্ত হল জানার অপেক্ষায় ছিল গোটা জাতি। জাতীয় লিগের মাঝে ও ভারত সিরিজের আগে ক্রিকেটে অচলাবস্থা নিরসনে বিসিবি সব দাবি মেনে নিয়ে ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাবে, এমনটাই অনুমেয় হলেও সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ পেল বিসিবির কঠোর মনোভাব।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে শোনা গেল না সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগের কথা। বিসিবির কাছে সরাসরি দাবি উত্থাপন না করেই কেনো খেলা বর্জনের সিদ্ধান্তে গেলেন ক্রিকেটাররা, সে প্রশ্ন নাজমুল হাসানের।
তিনি জানান, এর পেছনে কারা কলকাঠি নাড়ছে তাদের আগে খুঁজে বের করা হবে, তারপরই নেয়া হবে সিদ্ধান্ত।
‘ক্রিকেট উন্নয়নের জন্য আমরা যখন অনেক কাজ করছি তখনই এসব বিষয় (১১ দফা দাবি) সামনে আনায় তাতে চিন্তা করার বিষয় আসলেই এসব কোনো দাবি কিনা? আর দাবিই যদি থাকে সেটা পেশ না করে সিদ্ধান্তের সুযোগ না দিয়ে খেলা বন্ধ কীভাবে আগে আসে? দাবি না মানলে কেউ বলতে পারে খেলব না। আগে খেলা বন্ধ-এটা খুবই চিন্তার বিষয়। এটি নিয়ে আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি।’
‘এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। আমাদের ভারত সিরিজের ক্যাম্প শুরু হচ্ছে। খেলোয়াড়রা যদি যায় ভালো, যদি না যায় নাই। যাবে না। আমার কিছু বলার নাই। আর যদি ক্রিকেটাররা বসতে চায় বসতে পারে যেকোনো সময়েই। এখানে সারা দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য দিয়ে… জাতীয় দলের একেকটা খেলোয়াড় কী পরিমাণ টাকা পায় আপনারা জানেন! তারপরও বলে তারা নাকি কিছুই পায় না। যে পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা ওদের দেয়া হয়। আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না। সব দাবিই মানার মতো। এসব তো চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছে।’
‘কোচের কথা বলে প্রত্যেকটা জেলায় আমাদের কোচ আছে। ওখানে কোচ লাগবে। আমরা সবকিছু দিয়ে সবকিছুতে যখন উন্নতি করছি তারপরও যখন এসব বলে। আগে এত বছর কিছুই ছিল না সেটা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। এটা আমার মনে হয় দেখার বিষয় আছে। আসলে এটার মধ্যে কী আছে। আমরা সেটির কারণ বের করব।’
নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, আলোচনার পথ খোলা আছে। ক্রিকেটাররা যদি বিসিবির দরজায় কড়া না দেয় সেক্ষেত্রে হার্ডলাইনে যেতে পারে বিসিবি। অন্যদিকে ক্রিকেটাররাও তাদের আল্টিমেটামে অনড়। এমন অবস্থায় দেশের ক্রিকেট কোন পথে যাবে, সে প্রশ্ন ডালপালা মেলতে শুরু করেছে।
ভারত সিরিজের জন্য ২৫ অক্টোবর শুরু হওয়ার কথা ছিল জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্প।