২০০০ সালের ১০ নভেম্বর দিনটি ছিল শুক্রবার। শুরু হয় টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পদাচরণা। আজ পার হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটে টাইগারদের ১৫ বছর।
ইতিহাসকে স্বাক্ষী রেখে প্রথমবার দুই বাঙালি অধিনায়ক টস করতে নেমেছিলেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। অভিষেক ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও সৌরভ গাঙ্গুলী বিশেষভাবে নির্মিত স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে টস করেছিলেন। বাকিটা ইতিহাস।
টসে জিতে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামে। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সেঞ্চুরি (১৪৫) এবং হাবিবুল বাশারের ৭১ রানের সহায়তায় বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে তোলে ৪০০ রান।
অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় নেন ছয় উইকেট। স্বপ্নের সূচনার পর স্বাগতিকরা চতুর্থদিনে নিজেদের অভিষেক টেস্ট হেরেছিল দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার দরুন।
অভিষেক টেস্টে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দল তাদের টেস্ট অভিষেকে ৩০০ রানই করতে পারেনি। ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড তো ২০০ রানই পেরোতে পারেনি। আর দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ৮৪ রানেই।
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম ইকবাল, ৩ হাজার ১১৮ রান। দেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডও তামিমের দখলে, ৭টি। টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরিও করেন তামিম। প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মুশফিক। ৬টি সেঞ্চুরি নিয়ে তামিমের পরেই আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তৃতীয় স্থানে আছেন আছেন বাংলাদেশের ‘লিটল মাস্টার’ মুমিনুল হক, ৪টি। ৩টি করে সেঞ্চুরি আছে ইমরুল, সাকিব, মুশফিক ও বাশারের।
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সাকিব। ৪২ ম্যাচে ১৪৭ উইকেট নিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। ইনিংসের ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৪ বার। ম্যাচে ১০ উইকেটও আছে একবার।
তবে এই ১৫ বছরে প্রাপ্তির খাতায় অনেক কিছুই যোগ হয়নি টাইগারদের। ৯৩টি টেস্ট খেলে জয় মাত্র ৭টিতে। পরাজয় ৭১ ম্যাচে। টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম জয় আসে ২০০৫ সালের ১০ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।