এ বছর দেশে ডেঙ্গু রোগীরা ডেন-থ্রি ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। ২০ জন রোগীর নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ-বিসিএসআইআর শতভাগ এই ভাইরাস পেয়েছে।
এতে আক্রান্তদের হেমোরেজের পাশাপাশি শকে চলে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
জুলাই মাস থেকে দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে চলেছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯ হাজারের মতো আক্রান্ত এবং মারা গেছেন ৪০ জনের বেশি মানুষ।
এবার ডেঙ্গুর এ ভয়াবহতার পেছনে দায়ী ডেন-থ্রি ভাইরাস। রাজধানীর একটি হাসপাতালের ২০ জন রোগীর নমুনা গবেষণা করে শতভাগ এই ভাইরাস শনাক্ত করেছে বিসিএসআইআর। বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ এ তথ্য জানান।
প্রথমবার আক্রান্ত হওয়ার পর আবার ডেঙ্গুর ভিন্ন ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ঝুঁকি বাড়ে, বলছেন চিকিৎসকরা।
বিএসএমএমইউ’র ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সাইফুল্লাহ মুন্সি বলেন, যারা আগে ওয়ান ও টুতে আক্রান্ত হয়েছেন তারা আবার এই ডেন-থ্রিতে আক্রান্ত হলে শক ও রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়ে। এতে রক্ত জমাট বাঁধা, রক্ত ক্ষরণ হওয়া, পেট ফুলে যাওয়া বা বুকে পানি জমা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরনের গবেষণা ডেঙ্গু চিকিৎসায় সহায়ক হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান বলেন, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার জিনোম সিকোয়েন্স করলে তা চিকিৎসা দেওয়ার কাজে সহায়তা করবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভবিষ্যতে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিট ও ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের বিষয়েও গবেষণা করার পরিকল্পনার কথা জানায় বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ।