খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) এর দুই শিক্ষার্থীকে নব্য জেএমবি’র জঙ্গি সন্দেহে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্যমতে: খুলনার খানজাহান আলী কৃষকলীগ অফিসে ও আড়ংঘাটা থানার গ্যারেজে বোমা হামলার ঘটনায় আটক দুই ছাত্রের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
শুক্রবার নব্য জেএমবি সন্দেহে খুলনা নগরের গল্লামারী এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে এ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) বিশেষ একটি দল। আটক দুই ছাত্র হচ্ছেন: নূর মোহাম্মদ অনিক ও মোজাহিদুল ইসলাম রাফি। তারা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ও পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে: গ্রেপ্তাররা নব্য জেএমবি’র সদস্য। শনিবার নগরীর গল্লামরী এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটকদের অবস্থানস্থল থেকে ২টি কালো রঙের রিমোট কন্ট্রোল, একটি ল্যাপটপ, ১৪৪ বক্স দিয়াশলাই, ব্যাটারি, বৈদ্যুতিক তারসহ বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়: আটকরা গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে খুলনার খানজাহান আলী থানার কৃষকলীগ অফিসে বোমা বিস্ফোরণ ও ডিসেম্বরে আড়ংঘাটা থানার গাড়ি গ্যারেজে বোমা বিস্ফোরণের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল। শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ওই অভিযান চলে।
গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে কেএমপি কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির বলেন: গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর খানজাহান আলী থানা কৃষকলীগ কার্যালয় ও ৫ ডিসেম্বর আড়ংঘাটা থানার গাড়ি রাখার গ্যারেজে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নুর ও মুজাহিদুল প্রাথমিকভাবে ওই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা নব্য জেএমবি সদস্য।
কেএমপি কমিশনার আরও বলেন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা উগ্রবাদী মতাদর্শে আকৃষ্ট হন। পরে নব্য জেএমবিতে সম্পৃক্ত হন। একপর্যায়ে নিজেরাই নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ছক তৈরি করেন এবং দূরনিয়ন্ত্রিত বোমা তৈরির কারিগরি জ্ঞান অর্জন করেন। তারা দূরনিয়ন্ত্রিত বোমা প্রস্তুত করে ওই দুই স্থানে বিস্ফোরণ ঘটান। বোমার সরঞ্জামাদি রাখার জন্য তারা ভাড়া বাসা ব্যবহার করতেন।