‘পুরো ম্যাচ আমরা ডমিনেট করেছিলাম, বৃষ্টি আসার আগ পর্যন্ত আমরাই এগিয়ে ছিলাম। কেবল তার আগের ওভারে পাকিস্তান ৯-১০ রান নিয়েছিল। ওখানে তারা এগিয়ে গেছে। দুর্ভাগ্য আমাদের, আবহাওয়ার উপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। যদি পুরো ম্যাচ হতো, আমরা হয়ত জিততাম।’
মালয়েশিয়ায় যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে বৃষ্টি-আইনে ২ রানে হারের আক্ষেপ নিয়ে এভাবেই বলছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক সাইফ হাসান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান করেছিল বাংলাদেশের যুবারা। জবাবে পাকিস্তানের যুবারা ৩৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৯ রান তোলার পর বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির বাধায় পরে আর খেলাই হয়নি। বৃষ্টি আইনে শেষে ২ রানের জয়ে ফাইনালে ওঠে দলটি। রোববারের ফাইনালে অবশ্য তাদের হারিয়ে যুব এশিয়া কাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে আফগানিস্তানের যুবারা।
শনিবার বিকেলে কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা ফিরে রোববার সকালেই অনুশীলনে নেমে পড়েন সাইফ হাসান ও আফিফ হোসেন। বিপিএলে খুলনা টাইটানসের হয়ে খেলবেন যুব দলের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক। বিপিএল খেলবেন যুব দলের আরও তিন ক্রিকেটার। পেস-অলরাউন্ডার কাজী অনিক রাজশাহী কিংসে, চিটাগং ভাইকিংসে খেলবেন অফস্পিনার নাঈম হাসান ও পেসার ইয়াসিন আরাফাত মিশু।
অনুশীলনে ঘাম ঝরানোর পর যুবাদের প্রতিনিধি হয়ে মিরপুর একাডেমি মাঠে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন সাইফ। যুব এশিয়া কাপের প্রসঙ্গ ছাড়াও জানান বিপিএল নিয়ে লক্ষ্য ও স্বপ্নের কথা।
‘আমরা এশিয়া কাপ খেলে আসছি। ব্যাটসম্যান যারা আছি, তারা সবাই ফর্মে ফিরেছে। তারা সবাই ভাল পারফর্ম করছে। দল হিসেবে ও ব্যক্তিগতভাবে খুব ভাল ক্রিকেট খেলছে। এখন আমরা যারা বিপিএল খেলতে আসছি, ফোকাস থাকবে বিপিএলে। ম্যাচ পেলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো।’
বিপিএলের গত আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই বাজিমাত করেছিলেন আফিফ হোসেন। টি-টুয়েন্টি অভিষেকে ৫ উইকেট নেয়া প্রথম বাংলাদেশি বোলার বনে যান, নেন ব্যাটিংদানব ক্রিস গেইলের উইকেটিও। প্রথমবার বিপিএল মঞ্চে এসে জ্বলে ওঠা সেই আফিফের কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন সাইফ।
‘নিজেকে মেলে ধরার চমৎকার একটা প্ল্যাটফর্ম বিপিএল। গত বছর আফিফের খুব ভাল অভিষেক ছিল। এখানে সবচেয়ে ভাল ব্যাপার নিজেকে খুব ভালভাবে এক্সপোজ করা যায়। বিপিএলে অবশ্যই পারফর্মের চেষ্টা করবো। ওখানে যে পারফরম্যান্স হয়েছে তা ধরে রাখার চেষ্টা করবো।’
বিপিএল মানেই দেশি-বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের উপস্থিতি। অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগও। সাইফও তেমনই ভাবছেন, ‘অবশ্যই খুব ভাল একটা অভিজ্ঞতা হবে। জাতীয় দলের খেলোয়াড় আছে, বিদেশি খেলোয়াড় আছে। খুব ভাল অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা যাবে। এখান থেকে যতটা সম্ভব নেয়ার চেষ্টা করবো।’
খুলনা টাইটানসে যোগ দেয়ায় ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই সাইফ-আফিফরা শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনের কাছ থেকে দীক্ষা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ব্যাটসম্যান সাইফ প্রিয় খেলোয়াড়কে কাছে পেয়ে অনেককিছু শিখে নিতে চান, ‘আমার খুব পছন্দের একজন ব্যাটসম্যান। ছোটবেলা থেকেই ওনার ব্যাটিং অনুসরণ করি। এখানে ওনার কাছ থেকে অনেককিছু নেয়ার চেষ্টা করবো, যতটুকু সম্ভব।’
প্রথমদিন কী পরামর্শ পেয়েছেন সেটিও জানিয়ে গেলেন সাইফ, ‘মাহেলা বলেছেন তুমি যেহেতু অন্য একটা ফরম্যাট (ওয়ানডে) খেলে এসেছ। চেষ্টা করো উইকেটে ব্যস্ত থাকার। স্ট্রাইক রোটেট করার। তারপর শটস খেলার চেষ্টা করো, আউট হলে সমস্যা নেই।’