মানহানির অভিযোগে ঢাকা ও নড়াইলে করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট।
খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আইনজীবী কামরুজ্জামান মামুন ও ব্যারিস্টার ফাইয়াজ জিবরান।
এর আগে মানহানির অভিযোগে নড়াইলের করা মামলায় গত ১৩ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের জামিন পান খালেদা জিয়া। আর এর পরদিন ঢাকায় করা মানহানি মামলায় ছয় মাসের জামিন পান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করায় মানহানির অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলাটি করেন জেলার নড়াগাতী থানার চাপাইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান রায়হান ফারুকী ইমাম। ওই মামলায় নড়াইলের আদালতে গত ৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর হয়। এরপর ওই মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়া ৯ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেন, যার ওপর ১৩ আগস্ট শুনানি হয়। শুনানি শেষে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ায় অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। ওই মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়া আবেদন করলে গত ৭ আগস্ট খালেদা জিয়ার আবেদন বিচারিক আদালতে নামঞ্জুর হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সে আবেদনের শুনানি শেষে গত ১৪ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।