পায়ে হেঁটে ও ট্রাক্টরে করে উত্তর প্রদেশ থেকে আসা কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশে বাধা দিতে তাদের উপর টিয়ারগ্যাস ও জলকামান থেকে গরমজল ছুঁড়েছে দিল্লির পুলিশ।
দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের ব্যারিকেড দেওয়া সীমান্তে কৃষকদের পথরোধ করা হয়। কিষাণ ক্রান্তি পদযাত্রার অংশ হিসেবে এই র্যালি করছে কৃষকরা।
আন্দোলনে ঋণমুক্তি, বিদ্যুৎ, জ্বালানিতে ভর্তুকি এবং স্বামীনাথান কমিশনের সুপারিশের প্রতিফলন করার দাবি তোলেন তারা।
ওই এলাকায় পাঁচজন বা তার বেশি মানুষকে একসঙ্গে থাকতে দিচ্ছে না পুলিশ। ব্যবহার করতে দিচ্ছে না অ্যাম্পলিফায়ার ও লিউডস্পিকার। রাগান্বিত কৃষকরা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে এবং প্রবল স্লোগান দেয়।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত। কেন তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা ঠিক না। আমরা কৃষকদের সঙ্গে আছি।
উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবও কৃষকদের র্যালিতে সমর্থন দেন। বলেন, কৃষকদের কাছে সরকার যেসব প্রতিজ্ঞা করেছিলো তা তারা পূরণ করেনি। সুতরাং তারা প্রতিবাদ করবে সেটাই স্বাভাবিক। আমাদের কৃষকদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন এই পদযাত্রার আয়োজন করে। তাদের প্রেসিডেন্ট নরেশ তিকাইট বলেন, কেন আমাদের এখানে থামানো হচ্ছে? র্যালি ত শৃঙ্খলাবদ্ধভাবেই এগোচ্ছিল। আমরা যদি সরকারকে আমাদের সমস্যার কথা না বলি, তাহলে কাদের বলবো? আমরা কি পাকিস্তান বা বাংলাদেশের কাছে যাবো?
গত ২৩ সেপ্টেম্বর হরিদ্বারের টিকাইট ঘাট থেকে এই র্যালি শুরু হয়। আজ এই র্যালির রাজঘাটের পাশে কৃষক নেতা চৌধুরী চরণ সিংয়ের মেমোরিয়াল কিষাণ ঘাটে যাওয়ার কথা ছিলো। দিল্লির দিকে যাওয়া জাতীয় হাইওয়েগুলো গোন্ডা, বাস্তি, পূর্ব উত্তর প্রদেশের গোরাকপুর এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশের সুগারকেন বেল্টের অনেক অনেক কৃষকে প্লাবিত ছিলো।
মিরুতের এক কৃষক হার্মিক সিং বলেন, আমরাতো সরকারের কাছে বিনামূল্যে কিছু চাইছি না। আমরা তাই চাইছি, যা আমাদের প্রাপ্য।