ঈদ মৌসুমে নাটকের শিল্পী-নির্মাতাদের ব্যস্ততার সীমা থাকে না। তবে করোনার কারণে গত বছরের মতো এবারের ঈদেও সেই ব্যস্ততা অনেকাংশেই কম। সংক্রমণ বৃদ্ধি ও লকডাউনের কারণে বেশীরভাগ নির্মাতাই পরিকল্পনা মাফিক শুটিং করতে পারেননি। তাদেরই একজন নির্মাতা মাহমুদুর রহমান হিমি।
তিনি জানান, অনেকগুলো নাটক নির্মাণের ছক কষে রাখলেও আসন্ন ঈদের তার পরিচালনায় ঈদে চারটি নাটক প্রচার হচ্ছে। নতুন ছকে বাঁধা নাটকগুলোর শুটিং করতে পারেননি তিনি, শুধুমাত্র লকডাউনের কারণে।
হিমির পরিচালনায় এসব নাটকে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব-সাফা কবির (মনের মতো বাগান), ব্লাড (অপূর্ব-মেহজাবীন), পাগলা রাজা বাসর ঘরে (আফরান নিশো-মেহজাবীন), মেরুন (নিশো-মেহজাবীন)।
নির্মাতা হিমি জানান, এসব নাটকের শুটিং লকডাউনের আগেই করা। ঈদের জন্য অনেকগুলো কাজের প্ল্যান থাকলেও ক্যানসেল হয়েছে। চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে ব্যস্ত এই পরিচালক বলেন, প্রতিটি কাজেই ভিন্ন ভিন্ন গল্প থাকছে।
তিনি বলেন, চারটি নাটকের মধ্যে ‘ব্লাড’ ও ‘পাগলা রাজা বাসর ঘরে’ নাটক দুটি যাচ্ছে চ্যানেল আইতে। চারটি কাজ দিয়ে নিজের সঙ্গে নিজের প্রতিযোগিতা করছি। একটি থেকে অন্যটি যেন আরও ভালো হয় এটাই চাইছি। সব কটি কাজ নিয়ে আমি আশাবাদী।
আগে ঈদে টিভি টার্গেট করে নাটক নির্মিত হলেও বর্তমানে ইউটিউব ফোকাস করে বেশীরভাগ নাটক নির্মিত হচ্ছে। সেখানে ‘ভিউ’ বেশি হবে এমন চিন্তা প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। পরিচালক হিমি বলেন, ভিউ এর বিষয়টি নির্ভর করে নাটকটি নির্মাণের পৃষ্ঠপোষকতায় থাকছে টিভি নাকি ইউটিউব! টিভি থেকে কাজ এলে অবশ্যই টিভি দর্শক ও চাহিদা মাথায় নিয়ে কাজ হয়।
কিন্তু ইউটিউব বা এরকম লেভেল থেকে কাজ তৈরি হলে তারা মাথায় রাখে ভিউ বেশি হবে কী বানালে। তারাই পরে চ্যানেলে প্রচারের বিষয়টি দেখভাল করেন বলে জানান হিমি। তিনি বলেন, একটি বেসরকারি টিভিতে আমার একটা ধারাবাহিক প্রচার হচ্ছে। নাটকটির সবকিছুই আমার উপর ছেড়ে দেয়া। এজন্য দিনশেষে আমি টিভি নির্মাতা পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
নির্মাতার আসল মেধার বিকাশ ঘটে কোন মাধ্যমে টিভি নাকি ইউটিউবে জানতে চাইলে পরিচালক হিমি বলেন, টিভির জন্য নাটক বানালে মেধার বিকাশ ঘটে। টিভিতে কাজ করতে হলে অনেক আলোচনা ও পরিকল্পনা করে করতে হয়। পরে আউটপুট বেশি আসে রেদার দ্যান ইউটিউব কোম্পানি।