কিছুটা দাম কমেছে পেঁয়াজের। ২ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে কমেছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯৫ টাকা। আর মিয়ানমার ও মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। তবে পাড়া-মহল্লার বাজারে এখনো ২০০ টাকার বেশ ওপরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। কাঁঠালবাগানে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, গত দুইদিন ধরে দাম কমছে। দুইদিনে ৩০/৪০ টাকা কমেছে। তিনি বলেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত পেঁয়াজ কিনি না এখন। কারণ বেশি কিনলে লোকসান গুনতে হবে।
তবে কারওয়ান বাজারে দাম নিয়ে বিক্রেতারা লুকোচুরি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা হাবিবুর রহমান বলেন, দোকানভেদে দামের ব্যাপক তারতম্য দেখা গেছে। ২/১ টি দোকানে এখনও ২২০ টাকা দাম রাখা হচ্ছে। দর কষাকষি করে ২০০ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ দোকানে ২০০ টাকার কমে বিক্রি হচ্ছে।
দাম বেশির কারণ জানতে চাইলে পেঁয়াজের খুচরা বিক্রেতা সোহাগ বলেন, আমি বেশি দামে কিনছি, তাই বেশি দামেই বিক্রি করছি।
শিগগিরই দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন শ্যামবাজার পেঁয়াজ-রসুন সমিতির প্রচার সম্পাদক ও পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম।
তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: গতকাল রোববার পাইকারি পর্যায়ে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ২০০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৮০ টাকা ও মিশরের পেঁয়াজ ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আজ সোমবার এই তিন ধরনের পেঁয়াজে গড়ে ৪০ টাকা করে দাম কমেছে।
এখন দেশি পেঁয়াজ ১৬০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৪০ টাকা ও মিশরের পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানা তিনি।
শহিদুল ইসলাম বলেন, আমদানি বাড়ছে। নতুন পেঁয়াজও আসার সময় হয়ে আসছে। তাই দাম কমতির দিকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের চাপ কিছুটা কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলেন: কারওয়ান বাজারে টিসিবি ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। তাই কাস্টমারের চাপ কম।
টিসিবির সামনে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত মানুষের লাইন। জনপ্রতি ১ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি। গতকাল রোববার সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় আজ সোমবার পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে।
ক্রেতাদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে টোকেন দিচ্ছেন তেজগাঁও থানার পুলিশের উপ পরিদর্শক মাসুদুল। তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: বিশৃঙ্খলা এড়াতে কমিশনার স্যার টোকেন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। দুপুর ১২ টা থেকে প্রায় ৭/৮শ মানুষকে টোকেন দিয়েছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৪৫ টাকা দরে টিসিবি ১ হাজার জন ক্রেতাকে ১ কেজি করে পেঁয়াজ দিয়েছেন।