আদালত অবমাননার দায়ে আদালতের ডকে ১ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে সাজা ভোগের পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আদালতে দাঁড় করিয়ে রাখা প্রাগৈতিহাসিক ও মধ্যযুগীয় ঘটনা।
বুধবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আদালত অবমাননা তখনই হবে, যখন কেউ আদালতের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করবে, বিচারের প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্থ করবে এবং আদালতকে অসন্মান করবে। কিন্তু আমাকে বিচারপতিরা কোনো জায়গাতেই বলেননি আমি এসব ভঙ্গ করেছি।
দাঁড় করিয়ে রাখা পৃথিবীতে সবচেয়ে অভদ্রজনিত ব্যবহার উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দাঁড় করিয়ে রাখা অর্থহীন, প্রাগৈতিহাসিক এবং মধ্যযুগের ঘটনা। এরপরও তারা দাঁড় করিয়ে রেখেছেন।
নিজের বয়সের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি বয়সের সম্মান ওনাদের কাছে কামনা করি না।
জরিমানার বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান বলেন, আমাকে উচ্চতর আদালতে আপিলের সুযোগ না দিয়ে ওনারা (বিচারপতি) তাড়াতাড়ি চলে গেছেন। কিন্তু আমি জরিমানা দেবো না। উচ্চতর আদালতে আপিল করবো। আপিলে যা হয় দেখা যাবে।
তিনি বলেন, আমি কোথায়ও ভুল করি নি। সমালোচনা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। গণতান্ত্রিক দেশে কথা বলতে পারবো না। অথচ এই দেশের জন্য আমি যুদ্ধ করেছি। সেই দেশের বিষয়ে আমি কথা বলতে পারবো না তা তো হয় না।
বাংলাদেশে বসবাসরত ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের মামলায় ১৩৫টি প্যারাগ্রাফের কথা উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ বলেন, সেখানে ৩১টি প্যারাগ্রাফে বার্গম্যানকে ছোট করা হয়েছে।
দেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে আলাপ আলোচনার প্রয়োজন আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে সাজা দেয় ট্রাইব্যুনাল। এই সাজার নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেন জাফরুল্লাহসহ ২৩ জন। এরপর বিবৃতিদাতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।