Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

দলের বাইরে থেকেই বেশি শেখেন ইমরুল

জাতীয় দলে আসা-যাওয়া যেন নিয়তি হয়ে গেছে এবং সেটা মেনেও নিয়েছেন ইমরুল কায়েস। বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি বলে ভেঙে পড়েননি অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান। কঠিন বাস্তবতায় নিয়তির সঙ্গে আপোস করেছেন। যেকোনো সময় সুযোগ চলে আসতে পারে সেজন্য নিজেকে তৈরি রাখছেন বিসিবির এলিট স্কিল ক্যাম্পের মাধ্যমে।

বাংলাদেশ দলের কেউ চোটে পড়লে ইমরুলের ডাক আসার সম্ভাবনা তৈরি হওয়া ‘অলিখিত রীতি’। গত এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে এভাবেই দলে ঢুকেছেন এ ক্রিকেটার। অপ্রত্যাশিত প্রক্রিয়া এখন উপভোগ করতে শিখে গেছে ইমরুল। উপেক্ষায় আসে নতুন উপলব্ধি। বাইরে থাকলে শেখেন অনেক কিছু। সব খুলে না বললেও আক্ষেপ আর অনুযোগের সুর মিশে থাকল তার কথায়।

জাতীয় দলে আসা-যাওয়া আপনাকে মানসিকভাবে আগের চেয়ে শক্ত করেছে কিনা, যদি সুযোগ পান সেটার কি ইতিবাচক কোনো প্রভাব থাকতে পারে?

‘যদি বলেন তাই (ইতিবাচক), আসলে তাই। একটা জায়গায় কেউ যখন আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকে তখন অনেক কিছু দেখা যায়, ওই জায়গা থেকে অনেক কিছু উপলব্ধি করা যায়। আমার ক্ষেত্রে হয়তো ওটাই.. আমি বুঝেছি যে…অনেক কিছুই শিখি, যখন দলের বাইরে থাকি। অনেক কিছু উপলব্ধি করতে পারি। আবার যখন দলে যাই ওই জিনিসটা প্রয়োগ করতে পারি। তো মনে হয় যে, এটা আমার কাছে আর খারাপ লাগে না, ভালোই লাগে।

এলিট ক্যাম্প বাংলাদেশ দলের ব্যাকআপের জন্য করা হয়েছে। যাতে সরাসরি জাতীয় দলে এখান থেকে খেলোয়াড় নেয়া যায়। এর আগেও এমন হয়েছে এশিয়া কাপ ও গত বিশ্বকাপে হঠাৎ দলে ঢুকে গেছেন। যদি আবার ডাক আসে কতটা প্রস্তুত আছেন?

দেখেন, আসলে এরকম ক্যাম্প থাকলে অন্তত নিজেকে প্রস্তুত রাখা যায়, যেকোনো সময় ডাক পড়লে গিয়ে ওই জায়গাটা হ্যান্ডল করা সহজ হয়। না হলে হুট করে গিয়ে খেলাটা কঠিন। আন্তর্জাতিক ম্যাচের ফিটনেস ও ঘরোয়া ক্রিকেটের ফিটনেস দুইটা দুইরকম। আমার মনে হয় ক্যাম্পটা…আমরা যারা ডাক পেয়েছি অবশ্যই আমরা ভাগ্যবান বলব। কারণ বিশ্বকাপ চলছে যদি কারও ইনজুরি হয় এখান থেকে খেলোয়াড়রা যাবে। তো আমাদের ক্যাম্পটা সবাই খুব সিরিয়াসলি করছি, কারণ বলা যায় না, এখান থেকে খেলোয়াড় দরকার হলেও হতে পারে।

এশিয়া কাপে হঠাৎ নেয়া হয়েছিল। এবার বিশ্বকাপেও তেমনটা হলেও হতে পারে। মানসিকভাবে কতটা প্রস্তুত, আর যদি দলের প্রয়োজনে আবারও নিচে ব্যাট করতে হয় তাতে এবারও মানিয়ে নিতে পারবেন কিনা?

না, আমার কোনো সমস্যা নেই। এশিয়া কাপে খেলেছিলাম হঠাৎ করে গিয়ে। সেটা আসলে কঠিন ছিল। তার আগে আমি প্রায় ৬ মাস আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলিনি। এটা আমার জন্য ভালো যে এবার অন্তত এখানে প্র্যাকটিসে আছি স্কিল নিয়ে। যদি সুযোগ আসে যেকোনো কন্ডিশনে যে কোনো পরিস্থিতিতে খেলার জন্য আমি প্রস্তুত। সমস্যা নেই।

বিসিবির এলিট ক্যাম্প কীভাবে নিচ্ছেন?

আসলে প্রিমিয়ার লিগের পর তো আর খেলা হয়নি। তো আমার কাছে মনে হয় যারা আমরা জাতীয় দলের বাইরে আছি সবার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্যাম্পটা। সামনে যে খেলাগুলো আছে বা সিরিজ আছে বা আমাদের লম্বা মৌসুম যেটি আছে তার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে। সবাই খুব সিরিয়াসলি নিয়েছে ক্যাম্প। ব্যক্তিগতভাবে আমিও খুব উপভোগ করছি, এখানে যারা কোচিংস্টাফ আছে তাদের সঙ্গে কাজ করে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্যাম্পটা সিরিয়াসলি নিয়েই কাজ করছি।

ঘরোয়ার পারফরমার ও জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে এই ধরণের ক্যাম্প প্রথম হচ্ছে…

যখন এরকম একটা ক্যাম্প হবে তখন খেলোয়াড়রা উজ্জীবিত থাকবে। লিগের পর প্র্যাকটিসে না থাকলে ফিটনেস আস্তে আস্তে ডাউন হয়ে যায়। যারা টপ পারফরমার প্রিমিয়ার লিগে বা বিসিএল, এনসিএলে যারা পারফর্ম করছে তারা অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী ও উজ্জীবিত হয় যে জাতীয় দলে আসব বা খেলব। আমাদের এরকম একটা সুযোগ করে দেয়ার জন্য বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাই। যারা বাসায় বসেছিলাম প্রিমিয়ার লিগের পর কাজ ছিল না, তাদের জন্য অনেক ভালো, ক্যারিয়ারের জন্যও ভালো।’

Exit mobile version