প্রশ্ন ফাঁস বিতর্কের সুরাহা না করে এবং শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বাতিলের দাবিকে উপেক্ষা করেই তড়িঘড়ি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষার দুই দিনের মাথায় রোববার দুপুরে কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসে এ ফল প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সম্মিলিত পাশের হার ১৪.৩৫ শতাংশ।
রোববার দেড়টায় ফল প্রকাশের কথা থাকলেও প্রগতিশীল ছাত্র জোটের নেতাকর্মীরা পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মিছিল নিয়ে উপাচার্য কার্যালয় ঘেরাও করেন। এসময় মিছিল দেখে কলাপসিবেল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে দুটি গেট ভেঙেই উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা।
এক পর্যায়ে উপাচার্য বের হয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে দাবি করলে উপাচার্য আবারও তা অস্বীকার করেন এবং গুজব ছড়ানোর মূল হোতাদের খুঁজে বের করা হবে বলে জানান। এরপর বেলা সোয়া দুইটার দিকে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে ফল প্রকাশ করেন।
সংবাদ সংগ্রহের জন্য উপাচার্য কার্যালয় থেকে এক ভর্তি অফিসে যাওয়ার সময় ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টের সাংবাদিক মীর আরশাদুলকে আটকে রাখেন দুই নবীন শিক্ষক। তাকে বহিরাগত বলে আইডি কার্ড কেড়ে নিতে চান তারা। পরে নতুন প্রক্টরের উপস্থিতিতেই তাকে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আরশাদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: আমি যখন ভিসি স্যারের রুম থেকে ভর্তি অফিসের দিকে যাচ্ছি, দেখলাম সোহেল রানা স্যার আমাকে ভিডিও করছেন। এসময় সঙ্গে ছিলেন লুৎফর স্যার। ভিডিও করার কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা আমাকে জোর করে ভিসি স্যারের রুমে আটকে রাখে এবং পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে আমার অন্য সহকর্মীরা গিয়ে আমাকে উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে ফল প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে অানুষ্ঠানিক অভিযোগ তুলে বিচার দাবি করলে উপাচার্য দুঃখ প্রকাশ করেন।