নিখোঁজ থাকার সময়ে বিএনপি নেতা সাদত হাসান ও কল্যাণ পার্টির আমিনুর রহমান কোথায় এবং কী অবস্থায় ছিলেন জিজ্ঞাসায় সে বিষয়ে তারা তথ্য গোপন করেছেন বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। তাদেরকে অপহরণ করা হয়েছিলো নাকি গ্রেপ্তার এড়াতে তারা আত্মগোপনে ছিলেন জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) জয়েন্ট কমিশনার মো. আবদুল বাতেন বলেছেন: তারা তাদের মতো করে বক্তব্য দিচ্ছেন, সঠিক কোন তথ্য দিচ্ছেন না। তারা কখনও বলছেন আত্মীয়র বাসায় ছিলেন, আবার কখনও বলছেন অন্য জায়গায়। আমরা তাদের বক্তব্যগুলো যতোবারই যাচাই-বাছাই করে দেখেছি ততোবারই বিষয়গুলোতে আমাদের সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।
‘তাদের দেয়া বক্তব্য আমরা আরও খতিয়ে দেখছি। তদন্ত শেষ করে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। তারা যেই বক্তব্য দিচ্ছেন, তাতে এখনও মূল বিষয়টা বলা যাচ্ছে না। আমরা তাদের নিখোঁজের কারণ খুঁজে বের করবো। তাদের মতো ব্যক্তিদের নিখোঁজের কী কারণ থাকতে পারে, সেই বিষয়গুলো সামনে রেখে আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি’, বলেন মো. আবদুল বাতেন।
এর আগে কথিত নিখোঁজ অবস্থা থেকে বাড়ি ফেরার পথে আগের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বিএনপি নেতা সাদত হাসান ও কল্যাণ পার্টির আমিনুর রহমান। রিমাণ্ডে তাদের বিরুদ্ধে থাকা নাশকতা মামলা ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নিখোঁজ থাকা নিয়ে।
তাদের দেয়া তথ্যের সত্যতা জানতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ডিবি। তবে রিমাণ্ডে জিজ্ঞাসা হয়েছে মূলত: নাশকতার মামলা প্রসঙ্গে।
এছাড়া দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ রায়, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান এবং সাংবাদিক উৎপল দাসসহ কয়েকজন বাড়ি ফিরলেও কোথায় কী অবস্থায় ছিলেন, সে ব্যাপারে মোবাশ্বার হাসান কিছু ইঙ্গিত দিলেও অন্যরা কেউই কিছু জানাননি।
এখনও ফেরেননি কানাডাপ্রবাসী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র, ও সাবেক রাষ্ট্রদুত মারুফ জামান। নিখোঁজ থাকা প্রবাসী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ও সাবেক রাষ্ট্রদূতের অবস্থান জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।