Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

ঢাবি শিক্ষক মোর্শেদকে অপসারণের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এই শিক্ষকের করা রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। রুলে তাঁকে আগের অবস্থানে পুর্নবহাল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ পাচ বিবাদীকে আগামি চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

২০১৮ সালের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে একটি জাতীয় দৈনিকে অধ্যাপক মোর্শেদের লেখা ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। ওই নিবন্ধে বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি করা ও ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ ওঠে। পরে অধ্যাপক মোর্শেদ ওই পত্রিকাতেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে লেখাটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বঙ্গবন্ধু-সংশ্লিষ্ট অংশটুকু প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু ওই বছরের ২ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মোর্শেদ হাসানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়ে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রতিবেদনের পর প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল করা হয়।

ট্রাইব্যুনালের সুপারিশ অনুযায়ী গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সিন্ডিকেটের সভায় মোর্শেদ হাসানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। সে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় আচার্যের কাছে গত বছরের ১১ অক্টোবর আপিল করেন। কিন্তু আপিলের কোনো ফল না পেয়ে অপসারনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিনি রিটটি করেন।

Exit mobile version